
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হয়রানীমুক্তভাবে সরকারের সেবা জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়া, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা চ্যালেঞ্জ ও নীতি নির্ধারকদের দিক নির্দেশনা নিয়ে শেষ হলো তিনদিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, সম্মেলন থেকে যে দিক নির্দেশনা জেলা প্রশাকরা পেয়েছেন, সেসব তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।এবারের ডিসি সম্মেলন শুরু হয় গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে। আর শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে। সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। আর ৩৫৪টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া, জেলা-উপজেলার চিকিৎসক-ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কর আদায়, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, দুর্নীতি বন্ধে কঠোর অবস্থান, নির্বাচনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগসহ নানা দিকনির্দেশনা পেয়েছেন ডিসিরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হয়। এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ডিসিদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের সর্বোচ্চ বিবেচ্য বিষয়। এতে আমরা কতটুকু অগ্রসর হলাম, কী করণীয় তা নির্ধারণ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিফল হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সরকার। একেক জন ডিসি একেক জেলার দায়িত্বে থাকেন। সেখানে পুলিশ প্রশাসনের কাজ কী, সিভিলে প্রশাসনের কাজ কী-তা সবই জানা। সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে।
ডিসিদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, এটাই সুযোগ নিজেকে প্রকাশ করার, সৃজনশীলতা প্রকাশ করার। গৎবাঁধা কাজ থাকবে, তবে সৃজনশীলতাও থাকতে হবে। এছাড়া আরও নানা দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।