শ্রীলংকায় ছাত্র আন্দোলনের ১০ জন নিহত হলেও পুলিশের গুলিতে একজনও হতাহত হয়নি

শনিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব, আবদুস সালাম মিলনায়তনে এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশন ও পাবলিক স্পিকিং অফিসিয়াল আয়োজিত, এসএস গ্রুপ প্রেজেন্টেস ‘দেশসেবা লিডারশীপ এওয়ার্ড ‘২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইফতেখারুজ্জামান এই কথা বলেন।

 

 

 

শ্রীলংকায় সরকার পতনে ছাত্র আন্দোলনের ১০ জন নিহত হলেও পুলিশের গুলিতে একজনও হতাহত হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বহু ছাত্র নিহত হয়েছে,অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ের মধ্যে দুর্নীতির ঘটনাগুলো তদন্ত করে বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

 

তিনি বলেন, দুর্নীতি চারদিকে জেঁকে বসেছিল। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গত ১৫ বছরে তা আরও বেড়েছিল। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতদিন আছে এসময়ের মধ্যে দুর্নীতির ঘটনাগুলো তদন্ত করে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

 

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা ঘটেছে। দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা নেওয়া দরকার।

 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব কালো আইন বাতিল করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করে সংস্কার পরিকল্পনা করতে হবে। জনপ্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, সংসদ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবি রাজনৈতিক দিক থেকে যৌক্তিক। তবে ডকট্রিন অব নেসেসিটি থেকে এখনই তা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়েও সবাইকে আরও ভাবতে হবে।

 

 

এম মমিনুল ইসলাম বলেন,রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গন অভ্যুত্থানে ও যাদের মহান আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের ২য় স্বাধীনতা আমি সেইসব শহীদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে হাজার হাজার আহত ছাত্র জনতা যারা এখানো বুলেটের ক্ষত নিয়ে হাসপাতলে কাতরাচ্ছে ও আহত তাদের এই অসামান্য অবদানকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্বরন করছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বদা দেশের ক্রান্তিকালে জনমানুষের পাশে থেকেছে। এবারও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রোদ-বৃষ্টির মাঝেও এয়ারপোর্ট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিমানের পক্ষ থেকে ছাতা ও মাস্ক প্রদান করা হয়। বিমান বন্দর দিয়ে যেনো কোন অপরাধী দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় এবং তাদের অনকূলে বিমানের কোন প্রকার টিকেট বুকিং দিচ্ছে না এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহকে সহযোগিতা করা হয়। শুধু বর্তমান পরিস্থিতিই নয় পূর্বেও বিভিন্ন সময় যেমনঃ করোনা মহামারীর শুরুতে চীনের উহান শহর থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদেরকে ঝুঁকি নিয়ে মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে এনেছে বিমান। করোনা মহামারীর সময় সাশ্রয়ী খরচে টিকা ও সুরক্ষা সামগ্রী পরিবহন করেছে এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যেও লেবানন ও সুদানে রেস্কিও ফ্লাইট পরিচালনা করে আটকে পড়া বাংলাদেশী বৈদেশী মুদ্রা অর্জনকারী যোদ্ধাদের দেশের স্বার্থে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রিয় দেশ ও দেশবাসীর প্রয়োজনে ভরসাস্থল হিসেবে সর্বদা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পাশে আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

 

 

 

অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪টি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং ৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করা হয়েছে তাদের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ, শিশু খাদ্য ও মেডিকেল সামগ্রী প্রদানে কার্যক্রম করার জন্য। তারা সমাজের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন এবং তাদের নিরলস প্রচেষ্টা দেশের সেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ

 

 

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব সোলায়মান আহমেদ জিসান, বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব ড. ইফতেখারুজ্জামান,এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর কর্পোরেট পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ পরিচালক এম মমিনুল ইসলাম ,স্বনামধন্য বক্তা ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব জনাব ড. জামিল আহমেদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের জয়েন্ট সেক্রেটারী জনাম মিজান রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।