জাতির সংবাদ ডটকম।।
সচিবালয়ে আগুন বাংলাদেশের ইতিহাসের বিরল দুঃখজনক ঘটনা। এর আগে ছাত্ররা বিনা বাধায় সচিবালয়ে ঢুকে পড়লো, আনসাররা আন্দোলন করে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করলো, দুই কলেজের মারামারিতে রক্তপাত হলো, তাবলীগের অন্তকোন্দলে লাশ পড়লো-কোন ঘটনারই সরকার দৃশ্যত আগাম কোন ব্যবস্থা বা সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি। একই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সচিবালয়ে আগুন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের দায় আছে বলে মনেকরে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু আজ সচিবালয়ে অগ্নিদগ্ধ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে দলীয় প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে এ অভিযোগ করেন। এবি পার্টির আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর অবঃ আব্দুল ওহাব মিনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।এসময়
উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।
সচিবালয়ের ২নং গেটে সংবাদ কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়ায় মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, আমরা জেনেছি সরকার এই ঘটনার তদন্তে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদ রহীমকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর আগে বহু ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও জনগণ এর রিপোর্ট সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি এবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা জানতে চাই। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এখনই কোন মন্তব্য করতে চাই না কিন্তু ইতোমধ্যেই আমরা শুনলাম যে মন্ত্রণালয় দুটি অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে সেখানে বিগত সরকারের ব্যাপক দূর্নীতির নথিপত্র রক্ষিত ছিলো।
তিনি বলেন, এই ধরনের নাশকতার আশঙ্কা আমরা আরও করছি। আমরা মনে করছি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সহ পতিত ফ্যাসীবাদের দোসরদের বিচার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের নিরাপত্তা অবিলম্বে জোরদার করা দরকার। সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে এখানে ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে দলের আহ্বায়ক মেজর মিনার বলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ আগুনে সচিবালয় ৭ ঘন্টা যাবত পুড়ছে অথচ দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা গুলোর কাছে কোন তথ্য থাকবেনা এটা হতে পারে না। তিনি সেনা প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে থাকতে দেশে এই ধরনের ঘটনা চলতে পারেনা। তিনি অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, ইঞ্জিনিয়ার ড. মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ মাহমুদ রোমেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক শাহজাহান ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।