জাতির সংবাদ ডটকম।।
ইসলাম সমাজের আমীর, হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর নির্দেশে মানব জাতির হেদায়েত এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে মানব রচিত ব্যবস্থার উপর ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে লোকদেরকে মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়েছিলেন। লোকদের প্রতি তাঁর দাওয়াত ছিল- “ওহে লোক সকল! তোমরা সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকেই একমাত্র সার্বভৌত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও নিরংকুশ শাসনকর্তা মেনে তাঁর প্রতি ঈমান আনো এবং তাঁকেই একমাত্র দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্তা অর্থাৎ ইলাহ গ্রহণ কর। আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল, তোমরা আমাকে আল্লাহর রাসূল মেনে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আমার অনুসরণ ও অনুকরণ (আনুগত্য) কর”। এই দাওয়াত যারা গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরাই রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্যের অধীনে থেকে দাওয়াতী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এভাবে দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষা দিয়ে যখন আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নেতৃত্বে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হলো, তখন মদীনায় অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ তাঁর রাসূল (সাঃ) কে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের আসনে বসালেন। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে আসার পর অন্য ধর্মের লোকদের জন্য ধর্ম পালনের সুযোগ রেখেই মহান রব্বের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজ ও রাষ্টে ইসলাম প্রতিষ্ঠার এটাই আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে- “পবিত্র রমজান মাসে আল-কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য এবং এর আলোকে ঈমানদারগণের করণীয়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন, সশস্ত্র লড়াই এবং সেনাবাহিনীকে উস্কিয়ে ক্ষমতা দখল- এসবের কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ নয়। তিনি আরো বলেন, একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই আল-কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ইসলামী সমাজ আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটাই কল্যাণ ও মুক্তির পথ। ইসলামী সমাজ পরিচালিত ইসলাম প্রতিষ্ঠার মহতি প্রচেষ্ঠায় দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি শামিল হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আন্তরিক আহবান জানান।
‘ইসলামী সমাজ’ এর কেন্দ্রীয় নেতা, জনাব আবু জাফর মোঃ সালেহ্’র স ালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নেতা, জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন, আমীর হোসাইন, সোলায়মান কবীর, মোঃ নুরুদ্দিন, মোঃ আবু শামাহ, মোস্তফা জামিল সাদ ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ।