সম্পর্কের সিড়ি

বুধবার, জুন ৫, ২০২৪

 

।। মরিয়ম লিপি ।।

 

জীবন যেন গল্পের বই এর মত, পৃষ্ঠার পর  পৃষ্ঠার আতংকিত বা রহস্যময়! ,কখন শেষ হবে? কিভাবে শেষ হবে?  নানান চিন্তার মধ্যেই পড়তে পড়তে অবসান ঘটে,এই গল্পের মধ্যে দিয়েই জানা যায় বৈচিত্রময়  চরিত্রের একেকটি ধরণ।জীবন চলার পথে আমরাও কত মানুষের সাথে পরিচিত হই।কত বৈচিত্রত্রময় চরিত্র গুলো আমাদের জীবনে একেকটি শিক্ষা দিয়ে যায়,যা থেকে জীবন বোধ প্রখর করে তুলতে পারে কেউ কেউ, আবার কেউ কেউ নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে, কেউ কেউ চিরচেনা বা কয়েক দিনের চেনা মানুষটির উপর বিশ্বাস স্থাপন করে কেউবা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, ঠিক যেন সেই গল্পের বই টির গতানুগতিক পৃষ্ঠা ।তবুও চলতে হয়,বাঁচতে হয়,পা এর নীচের মাটি শক্ত করে, নিজের প্রতি আস্থা রেখে চলে যায় কারো কারো জীবন।অজানা একটি শহরে মানুষ যেমন অলি-গলির সাথে অপরিচিত ঠিক তেমনি একটি নতুন সম্পর্কের সাথে নিজেকে সামঞ্জস্যতার করে পথ চলাও তেমনি অপরিচিত পথটি মতই।আর এটা বোঝার দ্বায় কেবল সম্পর্কের একটি মানুষের উপর নির্ভর করেনা,উভয়ের উপর নির্ভর করে।

 

ভুল ত্রুটিহীন মানুষ কয়জন আছে?  ভুল আছে বলেই শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকে ঠিক তেমনি মন আছে বলেই ভালোবাসার পথ খোলা থাকে,মন ছাড়া যেমন মানুষ হয় না ঠিক তেমনি মানুষ ছাড়াও মন হয় না,তবুও এই এক জীবনে, এক মনে কত উথাল-পাথাল খেলা,কত রঙ এক জীবনের,কত সুখ, কত দুঃখ,হাসি কান্না সব কিছু কে অতিক্রম করে জীবন চলতে থাকে জীবনের নিয়মে। ঠিক সেই গল্পের বইটির মতই।

এলোমেলো আছে বলেই সঠিক শব্দটিরও জন্ম আছে,তাই সব কিছু বুঝার ক্ষমতা হয়ত সকলের থাকে না কিন্তু কাউকে কষ্ট দেয়ার অধিকার বা অপমান করার অধিকার কারোর নেই। যা একটি মানুষকে খুব কষ্ট দেয় প্রতিটি মুহুর্তে সেটা বুঝার ক্ষমতা অন্ততো সবার আছে। বন্ধু হবার যোগ্য কেউ না হতে পারে কিন্তু কাউকে অযোগ্য বলে আঙুল তুলে অপমান করোনা প্লিজ।কোন এক কবি বলেছিলেন “ভিক্ষা না দেও কিন্তু কুকুর লেলিয়ে দিওনা” ঠিক তেমনি বন্ধু না হও কিন্তু কষ্ট দিয়ে তাঁকে তিলে তিলে কষ্টের সাগরে ফেলে দিওনা।