জাতির সংবাদ ডটকম ডেস্ক।।
“ইসলামী সমাজ” এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ গোটা জীবন গঠন এবং পরিচলনা করার জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত প্রয়োজনীয় সকল আইন-বিধান সম্বলিত চির আধুনিক কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থাই ইসলাম। তিনি বলেন, ইসলাম গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করার মধ্যেই মানুষের দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ, শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে লাভ হবে চিরসুখের স্থান জান্নাত। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে মানুষ তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের পরিবর্তে কোন না কোন মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার মাধ্যমে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অধীনে বন্দি হয়ে মানুষেরই দাসত্ব করছে, যার কারণে অর্থ-সম্পদের মোহ এবং ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে দ্বন্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষসহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন প্রকার আযাব-গজবের শিকার হয়ে তারা চরম দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে- এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তাদের আখিরাতের জীবনও নিশ্চিত ধ্বংস হবে।
ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব থেকে রক্ষা পেয়ে সকল মানুষের দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ, শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে ধ্বংস থেকে মুক্তির উপায়” বিষয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কুশিয়ারা বাজারের সন্নিকটে খানবাড়ী সংলগ্ন বালুর মাঠে ২৯ ও ৩০ জুলাই ২০২৩ ইং এ দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত ২৬তম বার্ষিক ইসলামী মাহফিলে সংগঠনের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর “গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা মূলতঃ আযাব-গজবেরই পথ” একথার উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে সরকার এবং সরকার বিরোধীদের মধ্যে গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের অধীনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান দ্বদ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষ মূলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজবেরই অংশ। তিনি বলেন চলমান দ্বন্দ, সংঘাত ও সংঘর্ষ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র মূলোৎপাঠন করে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনাক্যু কিংবা সশস্ত্র লড়াই এসবের কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক পদ্ধতি নয় বিধায় “ইসলামী সমাজ” এসবের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে দৃঢ় থেকে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর’ই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরীক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব উল্লেখ করে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ, শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে মুক্তি লাভ করতে হলে সকলকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনে সকলকে তিনি “ইসলামী সমাজ” এ শামিল হওয়ার আহবান জানান। মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে এবং মৃত সকল ঈমানদারগণের রুহের মাগফিরাতে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত করা হয়।