জাতির সংবাদ ডটকম।।
৮ সেপ্টেম্বর শনিবার কালীকচ্ছ আনন্দধামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সর্বধর্ম মিশন কালীকচ্ছ, নবীনগরের ভোলাচং, সাতমোড়া সহ দেশেরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দ স্বামীর সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ অংশ গ্রহন করেছেন। জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্পাদক মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় মো. সামছুদ্দিন মৃধার কোরআন তেলাওয়াত ও অজয় দেবের গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সর্বধর্ম যোগ মন্ডলী কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন-সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও যোগমন্ডলী কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম। বক্তব্য রাখেন- নারী আসনের সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারূল, ত্রিপুরা রাজ্যসভার সাবেক বিধায়ক শ্রী কৃষ্ণধন দাস, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, মো. আবু হানিফ, সরাইল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এড. মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, ভোলাচং এর সভাপতি প্রভাত কান্তি পাল, আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আব্দুর রাশেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সাবেক শিক্ষক প্রমথ নাথ চক্রবর্তী, এড. মামুন কবির, শ্রীমতি শংকরি দত্ত, জয়দেব বর্মণ ও পরিমল দাস।
উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা, সরাইল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আমিন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন মিয়া, মোঃ বাবুল, সাদ্দাম হোসেন, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃআবু শামীম সানা , কালিকচ্ছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন টিটু সংগঠনিক সম্পাদক মো: ফেরদৌস,
বক্তারা বলেন, এটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার মিলন মেলা। কোন ধরণের বৈষম্য নয়। পৃথিবীর সকল মানুষই এক আল্লাহর সৃষ্টি। গড, ইশ্বর, বিধাতা, ভগমান ও আল্লাহ বলতে সৃষ্টিকর্তাকেই বুঝায়। ধর্মের ভিন্নতা থাকলেও সকলের রক্তই লাল। হিংসা বিদ্বেষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, হত্যা, লুন্ঠন, শোষনমুক্ত সমাজ গঠন করে সকল মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দেয়াই আনন্দ স্বামীর শিক্ষা ও আদর্শ। আনন্দধামের জায়গা সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। সভায় বক্তারা আনন্দধামকে কেন্দ্র করে দূর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিরূদ্ধে রূখে দাঁড়ানোর আহবান করেছেন। এ ছাড়া আনন্দধামের বেহাত হয়ে যাওয়া জায়গা/সমপত্তি পুর্ণ উদ্ধারে একটি কমিটি গঠন করে দ্রূত কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় আনন্দধামের পূণাঙ্গ কমিটি গঠন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।