সরিষাবাড়ীর ‘শাহানাজ আক্তার এখন তুহিন’

বৃহস্পতিবার, জুন ১২, ২০২৫

আবুল কাশেম জামালপুরঃ-

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শাহানাজ আক্তার (১৮) নামে এক মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে এখন তুহিন নামে পরিচিত হয়েছে। জানা যায় উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাহানাজ আক্তারের নাম পরিবর্তন করে এখন নাম রাখা হয়েছে তুহিন মিয়া। শাহনাজ উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের মেইয়া গ্রামের আব্দুল বাছেদের মেয়ে বলে জানা গেছে। এলাকাজুড়ে উৎসুক জনতা মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া তুহিনকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

 

পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শাহানাজ আক্তার খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। সে ২০২৪ সালে পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এসএসসি পাশ করার পর গত ডিসেম্বর মাসে সে ঢাকার ব্যাঙ্গল কোম্পানিতে চাকরি নেন। চাকরি নেওয়ার ৩ মাস পর হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন শাহনাজ আক্তার। চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ কিনে খায় শাহনাজ।

 

এদিকে ধীরে ধীরে তার শরীরের নারীর গঠন ও কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হতে থাকে। একপর্যায় ৩ মাসের মধ্যে মেয়ে থেকে ছেলের রূপে রুপান্তর হয় শাহনাজ আক্তার। বিষয়টি পরিবারের লোকদের বললে তারা প্রথমে বিষয়টি মজা ভেবে উড়িয়ে দেয়। এরপর গত সোমবার (০৯ জুন) সকালে ঢাকা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ছেলে রূপে বাড়িতে আসে শাহনাজ। পরিবারের লোকজন যাছাই-বাছাই করে দেখতে পান শাহনাজ সত্যিই মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছে। পরে তার নাম রাখা হয় শাহনাজ আক্তার থেকে মো. তুহিন মিয়া।

 

এ বিষয়ে শাহনাজ আক্তার বলেন, ঢাকাতে গিয়ে শারিরীক ভাবে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন শুরু হতে থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে ঢাকা সাভারের দি গ্রীন হাসপাতালের ডাক্তারে সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে অতিরিক্ত পুরুষের হরমোন শরীরে থাকার কারণে হঠাৎ এমন পরিবর্তন হয়েছে। গঠন পরিবর্তনে ফলে এখন শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ। পুরুষ হয়েছি এতে কোন সমস্যা হয়না।

 

এ বিষয়ে শাহনাজের বাবা আবদুল বাসেদ বলেন, ‘আমার ২টি মেয়ে একটি ছেলে। এখন মেজো মেয়ে শাহনাজ ছেলে হয়ে গেছে। এখন দুটি ছেলে একটি মেয়ে হলো। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছেতেই সব হয়েছে। এতে কারো কোন হাত নেই।

 

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, লিঙ্গ নির্ধারক বিষয়ে ছেলে না মেয়ে এটা পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়। মেডিকেল সাইন্সে এমনটা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। হরমোন জনিত কোন কারণ থাকলেও সেটা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যেতে পারে বলেও তিনি জানান।