জাতির সংবাদ ডটকম
পেশাদার সাংবাদিকদের সব ধরণের সুরক্ষা দিতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার । স্বাধীন সাংবাদিকতায় আর কোনো অন্তরায় সৃষ্টি করা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বিটিভির সংবাদ প্রচারে যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে। এখন টিভি টকশোতে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা আর নির্ধারণ করে দেয়া হয় না।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৩৩ জনের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘অসহায় সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের পাশে থাকবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না। প্রকৃতপক্ষে যারা ট্রাস্টের সহায়তা প্রাপ্য তারাই সহায়তা পাবে।’
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে করণীয়’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জি এম হিরু, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্যসচিব সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আমাদের প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহবুব রহমান, দৈনিক দাবানল সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার অনু, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা আনসারী, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন আরপিইউজের সহ-সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মানিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রাস্ট ইতোমধ্যে কল্যাণ ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অস্বচ্ছল ও প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা।
ফ্যাসিবাদের সময়ে যারা সাংবাদিকতাকে কলুষিত করেছে, সাংবাদিক সমাজকে জনসাধারণের কাছে হেয় করেছে তাদেরকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।