সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী এবং তারা পরিবর্তন চায়

বুধবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সকল ভোটই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তাই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের উচিত আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করে অতীতের ভোট কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়া। দেশের মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী। কারণ তারা পরিবর্তন চায়। তাদের ভিতরে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে। আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদী। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হব ইনশা আল্লাহ। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে আরও চারজন স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আমার নির্বাচনী এলাকায়। তাদের আচার-আচরণ অনেকটাই ‘ডেসপারেট’ ধরনের।

তাদের ভাব-সাব ২০১৮ সালের মতোই রয়ে গেছে। সে হিসেবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হওয়ার কিছুটা আশঙ্কা এখনো রয়েই গেছে।

গতকাল মিডিয়ায় এক (ভার্চুয়াল) সাক্ষাৎকারে  নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-৫ এর সতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি  শওকত মাহমুদ এ শঙ্কা ব্যক্ত করেন।

সেই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপি। তিনি ছাড়াও সেখানে আওয়ামী লীগের আরও চারজন নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তারা সবাই সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং সবাই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। এদের মধ্যে রয়েছেন- সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, আবু জাহেদ ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী। এ ছাড়াও আরেকজনের প্রার্থিতা নিয়ে আপিল প্রক্রিয়াধীন।

সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, কুমিল্লা-৫ এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্ত ও স্থিতিশীল। এলাকায় গণসংযোগ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে তারা দীর্ঘদিন পরে এবার ভোট দিতে চায়। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে তারা ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তবে পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তারা সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাব-সাব ভালো মনে হচ্ছে না। তাদের সমর্থক-কর্মীদের মধ্যে আলাদা একটা উগ্র-ভাব বিরাজ করছে। তারা ভাবছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই একতরফা (কেন্দ্র দখল করে) ভোটের মাধ্যমেই তারা জয়লাভ করবেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপে মনে হয়েছে যে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনই করতে চায়।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে এলাকার সাধারণ জনগণকে।