সাপাহারে ঈদের ছুটিতেও চলমান ছিল মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম

শনিবার, জুন ১৪, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ পবিত্র ঈদ- উল -আযাহার ছুটিতে সকলে পরিবারের সঙ্গে যখন সময় কাটাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একদল নিবেদিত প্রাণ কর্মী। এবারে ঈদের ছুটিতেও নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী, নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব গোলাম মোঃ আজম, সহকারী পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) শামীমা আক্তার এবং সহকারী পরিচালক (সিসি) ডাঃ মামুনাল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব সেবা চলমান রয়েছে। গত ৫ জুন ২০২৫ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলার সেবাগ্রহীতারা জানাচ্ছেন,ছুটির সময়েও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। অনেকে জানান, জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এই উদ্যোগ তাদের স্বস্তি দিয়েছে।

মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট, পরিবার কল্যাণ সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এসব সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন “গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের ছুটিতেও আমরা নিশ্চিত করেছি যেন কোনো মা বা শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের টিম আন্তরিকভাবে কাজ করছে,যাতে প্রত্যেক সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান। এই কাজ করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের বিষয়।”

বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানান, এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের এ ধরনের ত্যাগ ও নিষ্ঠা সাধারণ মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

যেখানে ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন, সেখানে এই সেবাকর্মীরা নিজেদের সময় উৎসর্গ করেছেন জনসেবায়। তাঁদের এ মহান দায়িত্ববোধ সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।