
স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী ইউনিয়নের কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট এলাকার দুইটি কাঁচা রাস্তায় কাদা পানি জমে গর্ত তৈরী হওয়ার কারনে মাঠের ধান তুলতে চরম বেকায়দায় পড়েছে এলাকার কৃষক জনতা।
সীমান্তবর্তী কলমুডাঙ্গা, বলদিয়াঘাট ও গোয়ালা ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকার ১০-১৫টি গ্রামের কৃষকদের ধান আনার একমাত্র পথ দুটির বেহাল অবস্থার কারনে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পথটির অবস্থা এতটাই করুণ যে, ট্রাক্টরের মতো শক্তিশালী বাহন গুলিও চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।স্থানীয় কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, রাস্তা দুটির উন্নয়ন না হওয়ার কারনে “প্রতি বছর মাঠ থেকে ধান তুলে আনতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।
এবারে রাস্তা এত খারাপ, ট্রাক্টর ঢুকেই ডেবে যাচ্ছে। ধান বোঝায় ট্রাক্টর কে অন্য খালি ট্রাক্টর দিয়ে টেনে তুলতে হয়। রাস্তা দুটিতে সামন্য কিছু ভাঙ্গা ইট খোয়া ফেললেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।”
ভুক্তভোগীরা জানান, “এক বিঘা জমির ধান মাঠ থেকে তুলতে ৫/৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হয়।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে রাস্তা দুটির অনেক অবদান রয়েছে। প্রতি বছর একই রকম সমস্যার সৃষ্টি হলেও তা দেখার কেউ নাই। বিশেষ করে মাঠের ধান ফসল তোলার জন্য বছরের একটা সময় বেশী রাস্তাটি কাজে লাগে।
পাতাড়ী ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম।বলেন, “বিষয়টা নিয়ে আমরা স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।
স্থানীয় কৃষকদের দেয়া তথ্যে জানা যায় সীমান্তবর্তী চকচকি, বসমিধা বিল সহ মাঠে বর্তমানে দুই তিন হাজার বিঘা জমির ধান মাঠে পড়ে আছে। প্রতিটি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া যায়। এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ফসল সময়মতো ঘরে না উঠলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন রাস্তাটি সংস্কারে দেরি হলে এবার চরম ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকার শত শত কৃষক পরিবার। এলাকাবাসী দ্রুত ভাঙা ইট খোয়া ফেলে রাস্তাটি সাময়িকভাবে হলেও সচল যোগ্য করার জোর দাবি জানাচ্ছেন।