স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নের শিতলডাঙ্গা গ্রামবাসীর বর্ষাকালে রোগী হাসপাতালে নিতে মানুষের কাধঁ একমাত্র ভরসা হয়ে আছে।
গত এক সপ্তাহের অবিরাম বৃষ্টির পর গ্রামটি থেকে বের হওয়ার পথও যেন বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁদা পানিতে নর্দমায় পরিনত হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা। দেখে রাস্তা না আবাদী জমি তা বোঝার উপায় নেই। গ্রামের চারদিক রয়েছে মেঠো পথ। এর মধ্যে কয়েকটি রাস্তা অতিরিক্ত কাঁদার কারণে গাড়ি, রিক্সা-ভ্যান কিছুই চলার উপযোগী নয়।
গ্রামটিতে রয়েছে একটি উচ্চ-বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলিম মাদ্রাসা, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, চারটি জামে মসজিদ। গ্রামে বাস করেন মুসলমান, হিন্দু ও সাঁওতাল উপজাতির মানুষ। প্রতিদিন গ্রামটিতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষের চলাচল।
শিতলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাটি হবে বলে জনপ্রতিনিধিরা বহুবার আশ্বস্ত করেছেন। এর আগেও বহুবার বিভিন্ন দলের নেতারা আশ্বস্ত করেছেন। রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় মানুষের খুবই কষ্ট হয়। এটি পাকা করা দরকার। প্রতিদিন গ্রামটিতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষের চলাচল।
ইসমাইল হোসেন জানান খঞ্জনপুর থেকে দুটি রাস্তা আমাদের গ্রামে প্রবেশ করেছে। একটি দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার অন্যদিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার। ৬ কিলোমিটার রাস্তার পাশে রয়েছে নির্মাণাধীন মিনি স্টেডিয়াম। দুই রাস্তার ধারে রয়েছে গ্রাম। দুটি রাস্তায় মানুষের দরকার। আমাদের গ্রাম থেকে ৫/৬ কিলোমিটার দূরে প্রস্তবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকা। এরপরও রাস্তা দুটি পাকাঁ হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের ভোট রাজনীতির শিকার এই গ্রামের মানুষ।
উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান হোসেন বলেন, রাস্তাটির বাজেট আসলে, যেকোন সময় কাজ শুরু হবে।
এদিকে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তাহাজ্জদ হোসেন বলেন, এবার অনেকগুলো রাস্তার স্কিম পাঠানো হয়েছে। পাশ হয়ে আসলে পর্যাক্রমে কাজ শুরু হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে অতি গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি পাকা করার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।