সাপাহারে গোল্ডেন কালার আম্রপালি আম চাষে আনোয়ারের সাফল্য!

শনিবার, জুলাই ২২, ২০২৩

 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা এলাকায় গোল্ডেন কালার আম্রপালি আম চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন আম চাষি আনোয়ার।

সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বর্তমানে”বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে” কর্মরত। তিনি চাকুরির পাশাপাশি সখের বশে গোল্ডেন কালার আম্রপালী আমের বাগান তৈরী করে দেশের বিভিন্ন ব্যাক্তি পর্যায়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন ।

 

তিনি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ছুটে আসেন নিজের হাতে তৈরী করা সখের আম বাগান দেখতে। বাগানের সব ধরনের কাজ তিনি নিজ হাতে করতে ভালোবাসেন। স্প্রে করা, গাছের কাটিং, কীটনাশক ব্যবহার ও সঠিক ভাবে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার নির্ধারিত মাত্রায় জমিতে দেয়া সহ সকল কাজ তিনি সরাসরি তদারকি করে থাকেন।

আনোয়ার একজন পরোপকারী মানুষ আম বাগানে আগাছা নাশক ব্যবহার থেকে তিনি বিরত থাকেন কারন হিসেবে তিনি বলেন যে গ্রামের সাধারন মানুষ তাদের পোষা গবাদী পশুর জন্য খাদ্য হিসেবে তার বাগান থেকে সারা বছর ঘাস সংগ্রহ করে থাকেন।

গ্রামের মানুষ গরু ছাগল পালন করেন তার বাগানের ঘাসের উপর নির্ভর করে এতে তারাও উপকৃত হচ্ছে। এ কারনে তার গোল্ডেন কালার আম্রপালী আম বাগানটি এখন সবার নিকট প্রিয় হয়ে উঠেছে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান এলাকায় কথিত গোল্ডেন কালার আম্রপালী আম চাষ করছেন আনোয়ার হোসেন। তার বাগানে প্রতিদিন লোকজন দলে দলে আসেন কথিত সেই গোল্ডেন কালার আম্রপালি আমের স্বাদ নিতে। স্বাদের চাইতে বেশি দৃষ্টিনন্দন আমের কালার। আম গুলো দেখতে চমৎকার হলুদ কালার মেশানোর মতো।

অন্যান্য আমের চেয়ে অনেক সুন্দর হওয়ায় তার নাম দিয়ছেন গোল্ডেন আম্রপালি। আর সেই গোল্ডেন আম্রপালির সাফল্য সত্যি অবিস্মরণীয়।

 

আম চাষী আনোয়ার হোসেন জানান তিনি প্রায় ৬ একর জমিতে গত ২০২০ সালের দিকে সখ করে মোট ২৫০০টি গোল্ডেন আম্রপালি,বারি-৪,ব্যানানা, কুমড়াজালি,ফজলি আম গাছ লাগিয়ে ছিলেন। বর্তমানে তার বাগানে রোপিত গাছের বয়স সাড়ে তিন বছর। চলতি বছরে তার বাগানে আমের উৎপাদন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান চলতি মৌসমে কুরিয়ারে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিকট প্রায় ৩৫০ ক্যারেট আম পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ব্যাক্তিগত ভাবে আরও ৪৫০ ক্যারেট বা ১০,০০০ কেজি নিরাপদ কেমিক্যাল মুক্ত গোল্ডেন কালার আম্রপালী সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন।

আমের কালার ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও ব্যাপক চাহিদা থাকায় দাম ভালো পেয়েছেন । প্রতিমন আম ৩২৫০ টাকা থেকে ৩৪৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।

তবে বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে ২৯৫০ টাকা দরে তার আম বিক্রি শেষ হয়।

এবারে তার বাগানে প্রায় ৬৫০ মন আম উৎপাদন হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাগানে ছোট ছোট সাইজের কিছু আম এখনও রয়েছে যা থেকে আরও আড়াই, তিন লক্ষ টাকা আয় হতে পারে বলেও তিনি আশা করছেন।

সফল আম চাষী আনোয়ার হোসোন সরকারি চাকুরির পাশাপাশি নিরাপদ আম উৎপাদন ও সরবরাহ করে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন ।