সাপাহারে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘর ভাঙ্গচুর

রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁর সাপাহারে জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতবাড়ীতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লাঠি, ধারালো হাসুয়া, দা, কুদাল, লোহার রড, সাবল ও বল্লম নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার জালসুকা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মেহেরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাপাহার থানায় গত ৫ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের মোঃ এনামুল হক (৫৫), পিতা-মৃত মিছু মন্ডল, মোঃ রাকিব (২৭),মোঃ আব্দুল কাফি (৩৫), মোঃ হাদিসুর রহমান (২৫), সর্ব পিতা-মোঃ এনামুল হক,মোঃ আতাউর(৫৫), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, মোঃ শরিফ (৩৫), মোঃ খাইরুল ইসলাম (২২), উভয় পিতা-মোঃ আতাউর,মোসাঃ ইয়াসমিন (২৩), স্বামী-মোঃ শরিফ, মোসাঃ সুন্দরী (২৩), স্বামী-মোঃ রাকিব, সর্ব সাং-বৈকন্ঠপুর (জালশুকা) থানা-সাপাহার, জেলা-নওগাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে। লিখিত অভিযোগে জানাগেছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীগন গত ৫ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার দিকে তাদের বসত বাড়ি ভাঙ্গচুর করতে থাকলে পরিবারের সদস্যগণ বাধা নিষেধ করিলে ১নং আসামী হুকুক দেয় যে, সালাকে আজকে পাইছি। আজকে ওকে শেষ করিয়া দে। হুকুম পাওয়া মাত্র ৩নং আসামী তার ভাই বউ মোসাঃ মাফুজা খাতুন (২৪) কে দুই হাত ধরিয়া থাকিলে ২নং আসামী তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে ভাই বউকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে আঘাত মারে। উক্ত আঘাত ভাই বউ বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করে এবং তার ভাই বউয়ের বাম হাতে লাগিয়া গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয় এবং মাটিতে পড়ে গেলে ২নং আসামী ভাই বউয়ের বুকে দুই পা দিয়া লাথি মারিয়া এবং গলা টিপিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। সে সময় আমার মাতা বাঁচানোর জন্য আগাইয়া আসিলে ৫নং আসামী বাঁশের লাঠি দিয়া

আমার মাতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে আঘাত করিলে আমার মাতা সরে যায়। তারা মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে এবং ডান পায়ের নিচের গোড়ালিতে মারিয়া

গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। অন্যান্য আসামীগণ তার ফুপাতো ভাই মোঃ শফি এর বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে ফুপাতো ভাইয়ের একটি টয়লেট ও টিউবওয়েল ভাঙ্গিয়া ফেলে এবং তার খলিয়ানে থাকা ১০ মন ধান ঝড়িয়া ছিটিয়া নষ্ট করে। যার মূল্য ১৫,০০০০/- (পনেরো হাজার) টাকা ক্ষতি সাধন করে। ৩নং আসামী কৌশলে তার শয়ন ঘরে প্রবেশ করিয়া নগদ =৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজারা) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া নেয়। সাক্ষী ১। মোঃ রেজাউল (৫৫), পিতা-মৃত সাজ্জাদ, ২। মোঃ শামসুল (৪৫), পিতা-মৃত আঃখালেক, ৩। মোঃ শরিফুল (৩৫), পিতা-মোঃ রেজাউল, সর্ব সাং-বৈকন্ঠপুর (জালশুকা), থানা-সাপাহার, জেলা-নওগাঁগণ সহ স্থানীয় লোকজন আসামীদের কবল হইতে আমাদের রক্ষা করে। সাক্ষীগণ আমাদের রক্ষার করিলে আসামীগণ আমাদের খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।

সাক্ষীদের সহায়তায় জখমীগণকে সাপাহার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ঘটনার সময সংবাদ পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।