স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহারে ভূমি দখলদার, চাঁদাবাজ, দালাল, মামলাবাজ,জালিয়াত চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীর আলম মানিক সহ জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সাপাহার উপজেলাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার বর্গ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সাপাহার উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে সাপাহার উপজেলার সর্বস্তরেরজনগন ও সচেতন তরুন সমাজ, বাংলাদেশ মানবাধিকার এবং সাংবাদিক বৃন্দ্বের উদ্যোগে ঘন্টাকাল ব্যাপী উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য যে, বিগত ৫০ বছর ধরে করলডাঙ্গা মৌজার তফসিলঃ জেলা সাবেক রাজশাহী হাল নওগাঁ থানা সাবেক পোরশা হাল সাপাহার মৌজা: করলডাঙ্গা, জেএল নং-১৩৫, খতিয়ান-৭৬, হাল নং-৩৩, জমির পরিমাণ: ২.৫০ একর জমি ওই এলাকার কয়েকজন মিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি কবলা দলিল মূলে স্বত্ববান হয়ে দখলীকার হিসেবে আম বাগান বিভিন্ন ভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ- দখল করে আসতেছে কিন্তু হঠাৎ গত ০৯/০৪/২০২৩ ইং রোজ রবিবার, সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আরম মানিক,শাহবদ্দীন,রফিক, মজিবর মন্ডল সহ ১০/১৫ জনসহ অনেকে লাঠি, লোহার রড, বল্লম, হাসুয়া ইত্যাদি ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত বেআইনী দলবদ্ধ জনতায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে অনাধিকার অনুপ্রবেশ করত: বাঁশের রেলিংয়ের বেড়া নির্মাণের কাজ আরম্ভ করলে আমরা ভোগদখলদার গণ বাদা দিতে গেলে আমাদের কে তাদের হাতে থাকা হাসুয়া লাটি দিয়ে আঘাত ও মারপিট করে। এসময় আহতদের চিকিৎসার জন্য সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স চিকিৎসা নিতে গেলে এই সুযোগে ভূমি দখলদারা আবার জমিতে ভোগদখলীয় জমির সকল বেড়া ভাংচুর করে তাদের বেড়া দেওয়া জন্যে জমিতে গেলে ভোগদখলকারী লোকজন বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামরিতে দুপক্ষের লোক জন জখম হয়। এবিষয়ে দুই পক্ষই স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন।কিন্তু বিষয়টি অন্যখাতে নিতে ভূমি দখলদার কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক মিথ্যা নাটক সাজিয়ে কোটে মামলা করেন যাতে উল্লেখ করেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাকে মারপিট করা হয় কিন্তু সেখানে জাহাঙ্গীর আলম মানিক লোভে পড়ে ঝামেলাযুক্ত ৪ শতাংশ জমি নাম মূল্যে ক্রয় করে গোপন রাখেন এবং তার সহযোগীদের সাথে নিযে জোরপূর্বক জমি দখল করতে যান যা ৫০ বছর আগে মূল দাতাগণ বিক্রি করে গেছেন।
এ বিষয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখেন,উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাংগঠনিক নূর আলম পিংকি, যেখানেই জমাজমি সংক্রান্ত গন্ডোগোল সেখানেই কতিথ নামধারী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক সহ ভূমিদস্যু শাহবদ্দীন,রফিব, ফারুক সহ দাঙ্গাবাজ বাহিনী গন্ডোগোল করেন এবং আসলে সে সাংবাদিক নাকি ভূমি দখলদার সেটা সাপাহার উপজেলাবাসী জানতে চায় এবং আমরা তাকে বয়কট করলাম।
বাংলাদেশ মানবাদিকার কমিশনের সাপাহার উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নূরে জান্নাত ময়না বলেন, ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে হবে আমাদের সভাপতি জুলফিকার আলী সম্রাটের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি জুলফিকার আলী সম্রাট বলেন আমি ঘটনার সময়ে ঘুমিয়ে ছিলাম অথচ আমাকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে ।
এছাড়া ও স্হানীয় বক্তারা বলেন আসলে কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিকের একাডেমিক সার্টিফিকেট কি আছে আর সে কিভাবে সাংবাদিকতা করে সেটা আমাদের মাথায় আসেনা সে তো ভূযা সাংবাদিক যার কোন অক্ষর জ্ঞান নেই সে বিভিন্ন সময় এই জায়গা নিয়ে ৪ টি মামলা করিয়েছে সে সহ তার সহযোগীরা মূলত মামলাবাজ। তা নাহলে এতো মিথ্যা মামলা কেন।
পত্নীতলা উপজেলার দ্বিবর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত চৌধুরী জানান ২০২২ সালে কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গির আলম মানিক সঙ্গীয় লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমার ইউনিয়নে অবৈধভাবে জমি দখল করতে আসলে আমি তৎকালিন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদুল ইসলাম কে নিয়ে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করতে গেলে মানিক আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং পরবর্তীতে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্য মামলা করা হয়েছিল।
সে সময় ভূমিদস্যু জাহাঙ্গির আলম মানিকের বিরুদ্ধে আমার ইউনিয়নের সর্বসাধারন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল বলে তিনি জানান।