
স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তী পাতাড়ী ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদ কলমুডাঙ্গা ও বলদিয়াঘাট এলাকার দুইটি কাঁচা রাস্তা বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। বিকল্প কোন পথ না থাকায় মাঠের ধান তোলা নিয়ে চরম জন দুর্ভোগ সৃষ্ঠি হয়।
নিরুপায় হয়ে কাদা পানির মাঝে লড়াই করে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে গ্রামবাসীকে ওই দুটি রাস্তা দিয়ে মাঠের ধান নিয়ে আসতে হতো। সময় মত কাটা ধান নিয়ে আসার অভাবে মাঠেই কাটাধান পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই জন দুর্ভোগ নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। জরুরী ভাবে রাস্তা দুটির সংস্কারে সরকারী ভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলেও স্থানীয় কয়েকজন সমাজসেবী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ওই সমাজ সেবীদের আর্থীক সহায়তা ও এলাকাবাসীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তারা নিজেরাই রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েন। কলমুডাঙ্গা ও বলদিয়াঘাট সহ আশেপাশের সকল গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে গত সোমবার থেকে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে।
সংস্কার কাজে নিয়োজিত আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান পার্শবর্তী পোরশা উপজেলার তারেক জিয়ার মোড়ে অবস্থিত ইট ভাটা থেকে আধলা ভাংড়ি ইট খোয়া প্রায় ৫০টি ট্রাক্টর নিযুক্ত করে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এলাকাবাসী ওই রাস্তা গুলোর খানা খন্দক ভরাট ও রাস্তার কাদা পানি সরিয়ে তার উপর ইট খোযা বিছিয়ে দিয়ে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করেছে।
এলাকার হতাশা গ্রস্ত হাজারো কৃষক জনতার পাশে দাঁড়িয়ে সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় উপকৃত হয়েছেন কলমুডাঙ্গা ও বলদিয়াঘাট সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত পাঁচ,সাত হাজার মানুষ।
গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটি জরুরী ভাবে সংস্কারে জন্য কোনো সরকারি উদ্যোগ আজও মিলেনি। এলাকাবাসী তাদের নিজেদের চলমান দুর্ভোগ লাঘবে নিজেরাই রাস্তাগুলো সংস্কারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবু কাহার মাস্টার জানান, ‘সরকারি অনুদান বা কারও অপেক্ষায় না থেকে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে সকলের সহযোগিতায় আমরা নিজেরাই রাস্তা সংস্কার কমিটি গঠন করে ওই রাস্তা গুলো মেরামতের কাজ শুরু করি। যার ফলে কৃষকগণ মাঠের ধান সহজে ঘরে তুলতে পারছে।
পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তরিকুল ইসলাম জানান, রাস্তা দুটির সৃষ্ট গর্ত ভরাট, পানি কাদা সরিয়ে ইট খোয়া দিয়ে রাস্তা ভরাটসহ বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা গুলো সংস্কার করেছে। তবে এটি জরুরী প্রয়োজনে সাময়িক উদ্যোগ মাত্র। রাস্তা ২টির স্থায়ী সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সীমান্ত সংলগ্ন জনপদের অতি জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দুটি পাকা করনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।