জাতির সংবাদ ডটকম: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ‘শিরিন ম্যানশন’ নামের ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
আজ সোমবার ওই ভবনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’ সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা গেছে।
এদিন সকাল থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া ভবনটির চারপাশে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় রয়েছেন।
এদিকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার শহীদুল্লাহ। তবে আজ মামলা করার কথা জানান তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ওই ভবনের তিন তলায়। এতে তিন জন নিহত এবং আহত হন ১৫ জন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকালের বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনও কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প হচ্ছে মনে করে অন্যান্য ভবনের লোকজনও নিচে নেমে আসেন। বিস্ফোরণের পরপর আগুন ধরে যায় শিরিন ভবনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চারটি ইউনিট মিলে ১৮ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
শুরুতে খবর ছড়িয়ে পড়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে। পরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানায়, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গ্যাস ডিটেক্টর (শনাক্তকারী যন্ত্র) দিয়ে পরীক্ষা করে সেখানে গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে বলে জানায়।
তবে ঠিক কোথায় ও কীভাবে গ্যাস জমে ছিল, কীভাবে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়, সেটা গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের কর্মকর্তারা জানান, কোনো আবদ্ধ জায়গায় স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ঘনত্বের গ্যাস থাকলে বৈদ্যুতিক সুইচ, শর্টসার্কিট, দেশলাই বা লাইটারসহ এ ধরনের যে কোনো কিছু থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হতে পারে।
এদিকে আজ সোমবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনা দুর্ঘটনা, এটা মেসিভ দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ।’