সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বিএসএফের প্রতি বিজিবির আহ্বান

শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক। এ সময় তিনি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালকের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর স্থায়ী স্থাপনা ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ বন্ধে আলোচনা করেন বিজিবি-বিএসএফ এর মহাপরিচালক।

এই সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে বিএসএফ এর ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।

আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সীমান্তবর্তী নদীগুলোর ভাঙন রোধে তীরবর্তী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, এবং পূর্বাভাস না দিয়ে বাংলাদেশের উজানে বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়।

সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা ও মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক ও আগাম গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। সীমান্তে যেকোনো হত্যা সংঘটিত হলে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ যৌথ পর্যালোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা হয়।

আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এ সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।