জাতির সংবাদ ডটকম।।
ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানুষ যখন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র পরিবর্তে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অধীনে জীবন-যাপন করে তখনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকম আযাব-গজব তাদের উপর চলতে থাকে এবং ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে তাদের জীবনকে মহা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, করোনা ভাইরাস, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং ক্ষমতা, আধিপত্য বিস্তার ও অর্থ সম্পদের মোহে বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত হয়ে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া ইত্যাদি মূলতঃ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব। তিনি বলেন, বর্তমানে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্ববাসী মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য স্বীকার করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অবাধ্য হয়ে তাঁরই সাথে অংশী স্থাপন করে চলছে, যার কারণে তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকমের আযাব-গজবের শিকার হয়ে বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের মানুষ আজ মানবতা ভূলে গিয়ে জাতীয় এবং ধর্মীয় ও দলীয় সংকীর্ণতায় নিমজ্জিত হয়ে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, যার কারণে মানুষে মানুষে হিংষা-বিদ্ধেষ এবং সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে। আর গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন রকম মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে তাদের আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং (শনিবার) বিকাল ৩ঘটিকায় নারায়নগঞ্জ মহানগরের চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে “মানব জীবনে দুর্ভোগ ও অশান্তির কারণ এবং কল্যাণ ও শান্তির উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত কল্যাণ ও শান্তি সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচন কিংবা স্বশস্ত্র সংগ্রাম নয়! আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন’ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি। তিনি বলেন, মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং মানব রচিত ব্যবস্থা ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহ্র সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ ব্যবস্থা ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা’ই সকল প্রকার দুর্ভোগ ও অশান্তি থেকে রক্ষা পেয়ে কল্যাণ ও অশান্তি লাভের একমাত্র উপায়।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের ধর্মীয় অধীকারসহ সকল অধীকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে এবং আল্লাহ্র রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা যারা করবেন তারা আখিরাতের জীবনেও সফলকাম হবেন। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে একমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীগণ আল্লাহ্র নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলকে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ পরিচালিত শান্তিপূর্ণ দাওয়াতী আন্দোলনে শামিল হয়ে কল্যাণ ও মুক্তির পথে জীবন গড়ার আহ্বান জানান এবং মানব জীবনে দুর্ভোগ ও অশান্তি থেকে পরিত্রান লাভে আল্লাহ্র সাহায্য ও রহমতের প্রার্থনা করেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মোঃ আজমুল হকের স ালনায় অনুষ্ঠিত ‘কল্যাণ ও শান্তি সমাবেশে’ আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ সোহেল ও আবু জাফর মোহাম্মাদ সালেহ্ প্রমূখ।