সৌদি ক্লাবে যোগ দিয়ে রোনালদোর কটাক্ষ

বুধবার, জানুয়ারি ৪, ২০২৩

ইউরোপের অধ্যায় শেষ করে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পাড়ি জমিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা সৌদি ক্লাব আল নাসরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। যেখানে আইকনিক ৭ নম্বর জার্সিতে খেলবেন এই তারকা। অপরদিকে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর রোনালদো ভক্ত থেকে ক্লাবের সমর্থকেরা দিন গুনছিলেন-কবে তাকে দেখা যাবে ক্লাব জার্সিতে। সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে আগামীকাল। সিআর-সেভেনকে আল নাসরের জার্সি গায়ে রাজা মতো বরণ করে নেয় রিয়াদের এম রাসুল স্টেডিয়ামে।
গতকাল স্পেনের মাদ্রিদ থেকে রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন এই তারকা। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আল নাসরের হোম ভেন্যু এম রাসুল স্টেডিয়ামে ভক্তদের সামনে রোনালদোকে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পর্তুগিজ তারকা। তারপরই ২৫ হাজার দর্শকের সামনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পরিচয় করিয়ে দেয় আল নাসর।

তবে সবার সামনে আসার আগে গণমাধ্যমের কাছে আসে এই তারকা। যেখানে তিনি বলেন, ‘ইউরোপের ফুটবলে আমার কাজ শেষ। এবার এশিয়ার ফুটবলের জন্য কিছু করতে চাই। গোলার্ধের এই প্রান্তে ফুটবল অনেক এগিয়েছে। শুধু পুরুষদের ফুটবল নয়, মহিলা ফুটবলের জন্য অনেক কাজ হচ্ছে। সেই কাজের সঙ্গে আমিও এগোতে চাই।’
তবে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে আসায় অনেকে কটাক্ষ করেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ এই তারকা নিয়ে। সেই নিন্দুকদের একহাত নিয়ে পর্তুগিজ মহাতারকা বলেন,
‘যারা কটাক্ষ করে তাঁরা ফুটবলের কিছু বোঝে না। শুধু এশিয়া নয়, আফ্রিকার ফুটবল অনেক বদলে গিয়েছে। সেটা এবারের বিশ্বকাপ দেখলেই বোঝা যায়। গত ১০-১৫ বছরে ফুটবল অনেক বদলে গিয়েছে। এশিয়ার দলগুলো এবারের বিশ্বকাপে যথেষ্ট ভালো ফল করেছে। আমার মতে ফুটবলের বিশ্বায়ন হয়েছে। আমি জানি সৌদি আরবের লিগ বেশ কঠিন। কোচ চাইলে আগামি কয়েক ঘন্টার মধ্যে মাঠে নেমে যেতে পারি।’
এছাড়া রোনালদো পা রাখার আগেই গোটা রিয়াদ শহর ছেয়ে গিয়েছে তাঁর ব্যানার–পোস্টারে। আল নাসেরের হোম জার্সির রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে হলুদ লাইট লাগানো হয়েছে রাস্তার ধারে।

অন্যদিকে ক্লাবে পৌঁছেই চুক্তিপত্রে সই করেছেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড। এরপর নিয়মমাফিক হয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তারপরেই পরিবারে সাথে রাজাকে বরণ করে নিল আল নাসের।