স্মারক বৃক্ষ, পবিত্র বৃক্ষ, প্রাচীন বৃক্ষ এবং কুঞ্জবন ঘোষণার জন্য আবেদন আহ্বান বন অধিদপ্তরের

বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

সরকার ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের বৃক্ষের তালিকা তৈরি করবে। এ লক্ষ্যে বন অধিদপ্তর বিশেষ ধরনের গাছ ও বন সংরক্ষণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারকবৃক্ষ, পবিত্রবৃক্ষ, প্রাচীনবৃক্ষ ও কুঞ্জবন ঘোষণার আবেদন চেয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ধারা ২৩ (১) অনুযায়ী এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী, পুরাতন বয়স্ক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত মূল্য সমৃদ্ধ দেশীয় উদ্ভিদ বা শতবর্ষী বৃক্ষকে ‘স্মারকবৃক্ষ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ম ও গোত্রের জনগোষ্ঠীর নিকট স্বীকৃত পবিত্র উদ্ভিদকে ‘পবিত্রবৃক্ষ’ বলে বন অধিদপ্তর জানিয়েছে।

এ অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও লতাগুল্মের সমাহার হলো ‘কুঞ্জবন’ যা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিকট সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও প্রথাগতভাবে মূল্যবান।

স্মারকবৃক্ষ, পবিত্রবৃক্ষ, প্রাচীনবৃক্ষ বা কুঞ্জবন চিহ্নিত করতে চাইলে বৃক্ষের বা কুঞ্জবনের নাম (স্থানীয় নামসহ যদি সাধারণ নাম থাকে), এলাকার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলাসহ যে সকল হাওর-জলাভূমি, বনভূমি, পাহাড়ে অবস্থিত তার নাম, ক্যাটাগরি, আনুমানিক বয়স, সংরক্ষণকারীর নামসহ এসব বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য, সংরক্ষণ বা টিকে থাকা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাসহ প্রস্তাবকারীর নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরসহ আবেদন পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারকবৃক্ষ, পবিত্রবৃক্ষ, প্রাচীনবৃক্ষ ও কুঞ্জবন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষকের টেলিফোন নম্বরে (৫৫০০৭১১১) যোগাযোগ করা যাবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য ও বৃক্ষ বা কুঞ্জবনের স্পষ্ট ছবিসহ ৩০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে ও cf-wildlife@bforest.gov.bd ইমেইলে এ অধিদপ্তরে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। ডাকযোগে আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর, বন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।