হাজারীবাগে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টারদাতা রানা ও সোহেল

শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪

 

আরমান বাদল ।।

রাজধানীর হাজারীবাগে ভয়ংকরের অন্যতম কারণ হচ্ছে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী আর মাদক ব্যাবসা এই কিশোর গ্যাং এর প্রধান ইয়াসিন ও সেকেন্ড ইন কমান্ড ইয়ামিন বাহিনীকে আশ্রয় প্রশ্রয় ও তাদেরকে সার্বিকভাবে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে আসছেন সাবেক যুবদলের নেতা জাফর হোসেন রানা এই রানার আশ্রয় হয়ে উঠেছে ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী বাহিনী হাজারীবাগের কিশোর গ্যাং এই কিশোর গ্যাংকে সার্বিকভাবে প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন রানা এবং কিছুদিন আগে এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য সুমিত দাস সহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেন হাজারীবাগ থানার পুলিশ এবং পরবর্তী সময় বিভিন্ন মানুষকে বলেছেন কোন টেনশন এর কারণ নাই আমার সাথে সব কথা হয়েছে কোন কিছু হবেনা রানার মুখের কথা এইটা পরবর্তী সময় হাজারীবাগ থানার সাব ইন্সপেক্টর সাদি মোহাম্মদ মামলার আয়ুব সাথে রানার যোগ সাজের মাধ্যমে মামলার নরমাল ফরডিং দেওয়ার কারণে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত দুইজন কিশোর গ্যাং সদস্যকে কোট থেকে জামিনে বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় এই কিশোর গ্যাং লিডার রানা ও সোহেল, হাজারীবাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় চুরি ছিনতাই ডাকাতি লুটপাট সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে এই বাহিনী এবং তাদের অপকর্মের অবৈধভাবে আয়ের একটা অংশ এই রানা ও সোহেল ভাগ পেয়ে থাকেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায় এবং এই কিশোর গ্যাং বাহিনীকে দিয়ে বর্তমানে হাজারীবাগ এলাকায় সিটি কলোনিরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসার পরিচালনা করছেন এই রানা এবং রানার মাদক ব্যবসার সহযোগিতায় রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল তার নেতৃত্বেই চলে হাজারীবাগে সিটি কলোনিতে মাদক ব্যবসা আর এই মাদক ব্যবসার আরো প্রাই ডরজন খানের লোক জড়িত ওই এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা এর সাথে কথা বলে জানা যায়-নাম না জানানোর শর্তে উনি বলেন হাজারীবাগ সিটি কলোনিতে বর্তমানে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় রয়েছেন রানা ও সোহেল এর দুই ভাই গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগে এই এলাকার কিশোর গ্যাং ইয়াসিন-ইয়ামিনকে নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল এর এখন নিয়ন্ত্রণ করছে মুখোশ পাল্টে নিজেকে সাবেক যুবদল নেতা পরিচয় প্রদানকারী জাফর হোসেন রানা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহে একটি অ্যামাউন্ট নিয়ে থাকেন এবং ঐমাদক ব্যবসায়ীদের বলেন এলাকায় থাকতে হলে বা ব্যাবসা করতে হলে আমাকে টাকা দিতে হবে এবং জাফর হোসেন রানার আরেক পরিচয় হলো হাজারীবাগ থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাইজুল ইসলাম রবিন তার খালু যিনি বর্তমানে বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের মামলায় পলত রয়েছেন এবং ঐএলাকার বিএনপির কিছু নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে রানা যুবদলের নাম ব্যবহার করে আসছে এতকরে দলের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন তারা এই অপকর্মের জন্য দল কোন দায়ী ভর করবেনা, রানা সে একজন হাজারীবাগে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর ইয়াসিন ও ইয়ামিনের বস তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা বর্তমানে এই কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে গোটা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কিছু দিন আগে ইয়াসিন ও ইয়ামিনকে উচ্ছেদ করে বের করে দেন এলাকাবাসী সকলে মিলে কয়েকদিন পরে এই রানার আশ্রয় আবার এলাকার ঢুকে জোর করে হিন্দুদের বিল্ডিং কোয়ার্টারের এর পাশে জায়গা জোর দখল করে টিনশেটের দো-চালার একটি ঘর করে বানিয়ে নিয়ে সেখানে বর্তমানে অবস্থান করেছে এবং সকল অপকর্ম ওই ঘর থেকে পরিচালনা হয়ে থাকে।