শহীদ আহমদ খান।।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের নেতবৃন্দ সহ সিলেটের বিশিষ্ট জনের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অবৈধ দখলদার মামলাবাজ জিতেন গং কতৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ জিতেনের সন্ত্রাসী পুত্র রাহুল দেবনাথ, শান্ত দেবানাথ গংদের গ্রেফতার দাবী।
সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারস্থ শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়ায় অবৈধ দখলদার জিতেন দেবনাথে সহধর্মীনি স্মৃতি রানী দেবনাথ কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সহ সমাজের বিশিষ্টজনের উপর মামলাদায়ের করায় উক্ত মামলা প্রত্যাহার ও জিতেনের সন্ত্রাসী পুত্র রাহুল দেবনাথ, শান্ত দেবনাথ গংদের গ্রেফতার দাবীতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজাউদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও পুজা পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ এবং পুজা পরিষদ সিলেট মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট দেবব্রথ চৌধুরী লিটন এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তারা মন্দিরের অবৈধ দখলদার ও জালিয়াত জিতেন দেবনাথ ও তার অবৈধ কাজের সহযোগী স্মৃতিরানী দেবনাথ কতৃক সমাজের বিশিষ্টজনের উপর মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জিতেন ও তার সকল অনৈতিক অপকর্মের সহযোগী স্ত্রী স্মৃতি রানী সহ পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের ভূমি আত্মসাতের হীন চেষ্টায় জালজালিয়াতি সহ বিশিষ্ট জনের উপর মামলা সহ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কালিমালেপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দমন না করায় তাদের সাহস বেড়ে গেছে। সেজন্যই তারা সারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ সহ বিশিষ্ট জনের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। অতীতে ও তারা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিরাজ মাধব চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট জনের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে জালিয়াত জিতেনের দুই সন্ত্রাসী পুত্র রাহুল দেবনাথ, শান্ত দেবনাথ সহ ভাতুষ্পুত্রদের সমাজবিরোধী অপকর্ম হুমকি ধামকি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মন্দিরের সেবাইত সহ ভাড়াটিয়ারা অতিষ্ঠ অবস্থায় জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
বক্তারা অবিলম্বে এ মিথ্যা জালিয়াতি মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বলেন অন্যথায় লাগাতার কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের ও পুলিশ কমিশনারের নিকট স্মারক লিপি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ এর সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলার শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সিলেট খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি ডিকুম নিঝুম সাংমা মহালয়া উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা জ্যোতিম্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন , সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন দে, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের জাতীয় পরিষদ সদস্য সুব্রত কুমার দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক লাল, পুজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শৈলেন কুমার কর, মোগলাবাজার থানা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনমোহন দেব, এয়ারপোর্ট থানা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার দেব, পুজা পরিষদ সিলেট জেলার সহ সভাপতি ভাষ্কর রঞ্জন দাস, পরিষদ, জকিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সিতেন্দ্র দাস, পুজা পরিষদের গণ সংযোগ সম্পাদক উজ্জল রঞ্জন চন্দ, বিশ্বনাথ উপজেলা পুজা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্ত দে, সিলেট জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মিথিন পাল প্রান্ত, শাহপরাণ থানা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায়, পুজা পরিষদ সিলেট মহানগরের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নন্দন চন্দ্র পাল, কানাইঘাট ঐক্য পরিষদের সাবেক সম্পাদক রিংকু চক্রবর্ত্তী, কানাইঘাট পুজা পরিষদের সভাপতি ভজন লাল দাস, দক্ষিণ সুরমা পুজা পরিষদের সহ সভাপতি মিন্টু দাস, বালাগঞ্জ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. পবিত্র বনিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের জেলা সদস্য কজলক আচার্য্য, ইসকন সিলেট প্রতিনিধি বলদেব কৃপা দাস, মহালয়া উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক স্বপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার দাস, শ্রী শ্রী মহালক্ষী ভৈরবী গ্রীবাপীঠের সাধারণ সম্পাদক জনার্দন চক্রবর্তী, গোলাপগঞ্জ পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিপ্টন রঞ্জন তালুকদার, বিশ্বনাথ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর দাস শংকু, ঐক্য পরিষদ জালালাবাদ থানা সহ সভাপতি যোগল কৃষ্ণ গোস্বামী, সহ সভাপতি নির্মল কুমার সিনহা, গোপাল টিলা আখড়ার সম্পাদক হিমাদ্রী কর পুরকায়স্থ, শাহজালাল ও মদনমোহন কলেজ শাখার সংসদ সনাতন বিদার্থী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, জেলা পুজা পরিষদ সিলেটের কোষাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সেন, জেলা পুজা পরিষদের প্রচার সম্পাদক বিমল কান্তি দে, মহানগর পুজা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন কুমার পাল, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কোতোয়ালী থানা সভাপতি পান্না লাল রায়, মহানগর পুজা পরিষদের সহ সভাপতি সুদীপ পুরকায়স্ত, মহানগর পুজা পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জীব দত্ত, সিলেট মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড পুজা পরিষদের সভাপতি শিমুল চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।