এম এ হাই,সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা–
কৃষি মন্ত্রি ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন নির্বাচনে আসেন যদি জিততে পারেন তবে স্যালুট দিয়ে চলে যাব। যেমনটি ২০০১ সালে আমরা স্যালুট দিয়ে আপনাদের খমতা দিয়ে আমরা বিদায় নিয়েছিলাম। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংশ করে দেশটাকে ধ্বংস করেছিলেন। নিজেদের কবর নিজেরা খুড়েছিলেন। তার মধ্যে এখন হাবুডুবু খাচ্ছেন। কবর থেকে উঠতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে । এইসব হুমকি দিয়ে আওয়ামীলীগের পতন ঘটাতে পারবেন না। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়ায় কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ রশুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপনন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে পেঁয়াজ রশুন সংরক্ষণ মডেল ঘর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী নিষেধাজ্ঞা থাকায় সারা দুনিয়ায় পেঁয়াজ পাওয়া যায় না। তখন পাগলের মত সারা দুনিয়ায় আমরা পেঁয়াজ খুঁজি। অনেক বেশী দাম দিয়ে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হয়। পেঁয়াজের দাম একটু বাড়লেই পাবলিক বলে এই তো পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল। তিনি বলেন, এই পাবনা এলাকার মানুষ যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দাঁদন নিয়ে পেঁয়াজ আবাদ করেন। পেঁয়াজ ওঠানোর সাথে সাথে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ জন্য তাড়াতারী বিক্রি করে দেয়। আবার রাখলেও তা শুকিয়ে যায়। এখানে ব্যাংকেরও একটা ভূমিকা রাখা দরকার। এ জন্য এই সকল বিষয়গুলো সরজমিনে দেখার জন্য আমি ও মাননীয় ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু মহোদয় আমার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রকল্প গুলো আমরা দেখতে এসেছি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কেন এই আশ্বিন কার্তিক মাস আসলেই পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়? পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম রাজনীতি শুরু হয় ? ঈদ এলেই আমাদের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানা ষড়যন্ত্র করে, সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা
জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পেঁয়াজের সংরক্ষণের সময় বাড়াতে। এজন্য আমরা সারা দেশে এই আধুনিক সংরক্ষণাগার স্থাপন করছি। যদি সফল হই তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ওয়াহিদা আকতারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হাসান আলী খান, কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার গোস্বামী, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ,ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।