১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১০, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আরও একবার অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে গেমসে ক্রিকেট খেলা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অলিম্পিকের ক্রিকেট ইভেন্টে ছ’টি দেশ অংশ নেবে। তবে ফুটবলে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র—পুরুষদের বিভাগে কমানো হচ্ছে দেশের সংখ্যা, আর মহিলাদের বিভাগে তা বাড়ছে।

অলিম্পিকে ক্রিকেটের ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত—শুধুমাত্র ১৯০০ সালের গেমসে একটি ম্যাচ হয়েছিল। এরপর আইসিসি অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিল ক্রিকেটকে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করার। সেই প্রচেষ্টা অবশেষে সফল হয়েছে।

ক্রিকেট ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেই অংশ নেবে ছ’টি করে দেশ, আর খেলা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ১৫ জন খেলোয়াড় রাখা যাবে। যদিও কোন কোন দেশ এই ছ’টি স্থানে জায়গা পাবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। বাকি দেশগুলোকে বাছাই পর্বের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

বর্তমানে আইসিসির অধীনে রয়েছে ১২টি পূর্ণ সদস্য এবং ৯০টিরও বেশি সহযোগী সদস্য দেশ, যারা মূলত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলে। ফলে বাছাই পর্বে প্রতিযোগিতা হবে প্রবল।

ফুটবলে কাটছাঁট, মেয়েদের সুযোগ বৃদ্ধি
অন্যদিকে ফুটবল ইভেন্টে হচ্ছে বড়সড় পরিবর্তন। এত দিন পুরুষদের বিভাগে ১৬টি দেশ খেললেও, তা কমিয়ে ১২-তে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এর বিপরীতে মহিলাদের বিভাগে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়েছে।

আইওসি’র স্পোর্টস ডিরেক্টর কিন ম্যাকোনেল বলেন, আমেরিকায় মহিলাদের ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও অগ্রগতির প্রতিফলন ঘটাতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, অলিম্পিকে মহিলাদের ফুটবলে আমেরিকা পাঁচবার সোনা জিতেছে এবং দেশটিতে নারী ফুটবলের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।