১৫ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দিলেন কোয়াব

শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।।

১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৬ দফা দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দিলেন ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)

 

শনিবার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ৬ দফা দাবি দাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কোয়াব।

 

সংবাদ সম্মেলনে কোয়াব এর সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয় কর্তৃক ১৩/০৯/২১ইং তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন নং- ১৫.০০.০০০০.০২৪,০৪.০০২.১৫-৩৮৫ (৯) এর মাধ্যমে দেশের সকল কেবল নেটওয়ার্কে ৩০/০৯/২১ইং তারিখের মধ্যে ক্লীনফিড বাস্তবায়ন, সেই সাথে ৩০/১১/২০২১ইং তারিখের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর এবং ৩১/১২/২১ইং তারিখের মধ্যে অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহর সহ সকল বিভাগীয় শহরে কেবল টিভি নেটওয়ার্ক খাতকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের নির্দেশনা জারি হয়। পরবর্তীতে আবারও ২২/০২/২০২২ইং তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন নং-১৫.০০.০০০০,০২৪.০৪.০০২.১৫-(অংশ-১)-১৩৮ (৮) এর মাধ্যমে ৩১/০৩/২০২২ইং তারিখের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এবং ৩১/০৫/২২ইং তারিখের মধ্যে অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহর ও বিভাগীয় শহরগুলোকে কেবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের নির্দেশনা জারি হয়। উক্ত নির্দেশনার আলোকে দেশের টেলিভিশন দর্শকদের সর্বোচ্চ বিনোদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশের কেবল অপারেটরগন কেবল টেলিভিশন সেবার অবকাঠামো ডিজিটালে রূপান্তর ও সেটটপ বক্স ক্রয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তী সময়ে উক্ত নির্দেশনা সমূহের সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় সারাদেশের কেবল অপরেটরগনের ব্যবসায়ে বিনিয়োগের বিপুল পরিমান অর্থ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

 

তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বরাবর আমাদের আকুল আবেদন ।

 

১. ১লা আগষ্ট ২০২৪ইং হতে শুরু করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ইং” এর মধ্যে সরকার কর্তৃক সারা দেশে কেবল টিভি খাতকে ডিজিট সার্ভিস বাধ্যতামূলক এর ঘোষনা প্রদান’।

 

২. ডিজিটাল কেবল টিভি সেবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আনলিমিটেড চ্যানেল সরবরাহের সক্ষমতা তাই গ্রাহকদের ক ডিজিটাল কেবল টিভি সেবাটি আকর্ষনীয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কোয়াব কর্তৃক আবেদনকৃত চ্যানেল সংখ্যা সমূহের অনুম প্রদান।

 

৩. কেবল্ টিভি নীতিমালা ২০২৩ বিধি ২ এর দফা ৭(গ) পূণঃ সংশোধন, অণ্যথায় সকল লাইসেন্সধারী কেবল্ অপারেটর ও চ্যা পরিবেশক প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য সংশোধিত নীতি প্রযোজ্য হতে হবে।

 

৪. সরকারী নির্দেশনা ও নীতিমালার পরিপন্থি এবং অননুমোদিত দেশী ও বিদেশী DTH, C-LINE, IPTV, IP BASED VID PROGRAM, OTT Platform সহ সকল প্রকার পাইরেসী এবং অবৈধ FTP সার্ভারের মাধ্যমে দেশীয় সরকারী-বেসরক টিভি চ্যানেল, বিদেশী ফ্রি টু এয়ার ও পে-চ্যানেল প্রদর্শন রোধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা অভ্যাহত রাখার অনুরোধ জানাচি

 

৫. বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (BTRC) কর্তৃক ১২ই মার্চ ২০২৪ইং তারিখে প্রকাশিত আইএসপি এর জন্য রেগুলেটর এবং লাইসেন্সিং গাইডলাইন এর ৭.৬ ধারাটি বাতিল করে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

৬. বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তির অপপ্রয়োগের কারনে সারা বাংলাদেশের কেবল টিভি ব্যবসায়ীদের গ্রাহক সংখ্যা লোপ পেয়েছে, ফর প্রতিটি ব্যবসায়ী খুবই ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় কেবল টিভি বিধিমালা ২০২৪ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সমূহের কেবল্ অপাটের (CO), ফিড অপারেটর (FO) ও এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর ধার্যকৃত বর্ধিত লাইসেন্স ফি কমিয়ে পূর্বের চেয়েও কমানোর দাবী জানাই।

 

১৫ই জুলাই ২০২৪ইং এর মধ্যে দাবি প্রদান করা না হলে উক্ত সময়ের পরে আমরা আমাদের ব্যবসাকে বাঁচিয়ে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কঠোর কর্মসূচি গ্রহনে বাধ্য হবো।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)এর সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন।

নিজাম উদ্দিন মাসুদ, লুৎফর রহমান নাসিম, মাহমুদুল মামুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।