আবুল কাশেম জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ২০১৯ইং ২০২০ইং ২০২১ইং ২০২২ইং ২০২৩ইং সালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ২৫ জন গুণীজনকে সম্মাননা দিয়েছে জামালপুর শিল্পকলা একাডেমী।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কালচারাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সঞ্চালনায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি।
জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা,মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমূখ।
সম্মাননাপ্রাপ্ত গুনীজনরা হলেন-২০১৯ সালে সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, নাট্যকলা বিভাগে এড. মো. শামসুল হক, কণ্ঠশিল্প বিভাগে অমর চন্দ্র পাল, যন্ত্রশিল্প বিভাগে কালিপদ হাওলাদার, চারুকলা বিভাগে এস এম জাহিদ হোসেন। ২০২০ সালে কন্ঠশিল্প বিভাগে মো. হাবিবুর রহমান স্বপন, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভাগে সিদ্ধার্থ শংকর রায়, চারুকলা বিভাগে সাইদুল হক সেলিম, নৃত্যকলা বিভাগে মো. দেলোয়ার হোসেন, আবৃত্তি বিভাগে এড. দেবজ্যোতি সেন শর্মা। ২০২১ সালে কণ্ঠশিল্প বিভাগে মো. আমজাদ হোসেন বাবু, নাট্যকলা বিভাগে সৈয়দ নূরুল আলম সেলিম, নৃত্যকলা বিভাগে খন্দকার হাফিজুর রহমান, যাত্রাশিল্প বিভাগে মো. মানিক মণ্ডল, যন্ত্রশিল্প বিভাগে দেবাশীষ সেন সঞ্জীব। ২০২২ সালে কণ্ঠশিল্প বিভাগে শিউলী চৌধুরী, চলচ্চিত্র বিভাগে মো. বাহা উদ্দিন খান, লোকসংগীত বিভাগে মো. মতিউর রহমান খান, যাত্রাশিল্প বিভাগে মো. সিরাজ চৌধুরী, নাট্যকলা বিভাগে মো. কামরুল আহসান সুজন। ২০২৩ সালে কণ্ঠশিল্প বিভাগে রোজী আক্তার শেফালী, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভাগে মো. লিটন তরফদার, নাট্যকলা বিভাগে মো. ফজলুল আলম সিদ্দিকী, নৃত্যকলা বিভাগে মো. রঞ্জু হোসেন আদিল খান ও চলচ্চিত্র বিভাগে মো. সাব্বির এহসান মঞ্জু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি বলেন দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতি কর্মীরা সম্পৃক্ত। সংস্কৃতির প্রথম প্রধান উপকরণ ভাষা। ভাষার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি বান্ধব।
সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃষ্টপোষকতার পাশাপশি সরকার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণীজনদেরকেও সম্মাননা জানানোর সংস্কৃতি চালু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতি বছর জেলা পর্যায়ে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা’প্রদান সরকারের সেই কার্যক্রমকে তরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন,তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক প্রতি বছর জেলা পর্যায়ে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা’ প্রদান সরকারের সেই কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে অনন্য উদ্যোগ। সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেককে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক সনদ, নগদ ১০ হাজার টাকার চেক, উত্তরীয় ও সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।