
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আলহাজ্ব আমির হোন খান ১৯৯৬ সাল থেকে মায়ের দোয়া, সাবাব ব্রিক্স, খান ট্রেডিং কর্পারেশন, বালু ও রুপালী মৎস খামার এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন ।
তাহার কর্মচারী জাকির হোসেন বিভিন্ন ভাবে ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেন আমির হোসেন খাঁন। যা বর্তমানে ব্যাংকের শোধসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আমির খান বলেন, মেসার্স মায়ের দোয়া, সাবাব ব্রিক্স ফিল্ড খাঁন ট্রেডিং কর্পারেশন, বালু খলা এবং রুপালী মৎস খামার ও হ্যাচারী আমির হোসেন খাঁন তাহার সমস্তো ব্যবসা বুজিয়ে দেন মোঃ জাকির হোসেন, পিতা: আব্দুর রশিদ সাং- উত্তর দিঘলদী, ভোলা সদর, ভোলা।
আমির খাঁনের পিতা ইন্তেকাল করার কারনে সে শোকাহতোবস্থায় থেকে একদিন নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পরার কারনে ব্যবসা পরিচালনা করার মত শারীরিক অবস্থা ছিল না। আমির হোসেন খাঁন কিছুটা সুস্থা হলে সে তাহার নিজ ব্যাবসা পতিষ্ঠানে গিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী জাকিরকে সকল ব্যবসা বুজিয়ে দিয়ে সে চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যান।
দীর্ঘ্য ৩ মাস পরে সুস্থ্য হয়ে ভোলাতে ফিরে আসেন এবং পূনরায় সে তাহার নিজ ব্যাবসা পতিষ্ঠানে গিয়ে জাকিরের কাছে সকল ব্যাবসার হিসেব চাইতেই সে বলে হিসেবের সকল খাতাপত্র আমার বাড়ীতে আছে বাড়ী থেকে এনে আপনার সকল হিসাবাদি বুজাইয়া দিবো। এই বলে জাকির ফিল্ড হতে চলে যান এবং তার আর কোন খোজখবর মেলেনি। অনেক খোজাখুজির পরও তাহার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হঠাৎ একদিন আমির খাঁনের ফোনে কলদেন এবং বলেন ভাই আমি জাকির বলছি আপনি আমাকে খোজার দরকার নাই কিছু দিন পরে এসে আপনার সকল হিসেব ও টাকা বুজাইয় দিবো। এই বলে সে ফোন কেটে দেন এবং পুনরায় আত্মগোপনে থাকেন।
কিছুদিন পরে লোক মারফত শুনাজায় জাকির নাকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ মিয়ার সাথে গুরাগুরি করেন এবং তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা স্বপন চেয়ারম্যান ও তোফায়েল আহমেদ এর বাসায় আশা যাওয়া করেন।
আরো কিছুদিন পরে আবার জাকিরকে মোবাইলে কল করা হয় সে কোন ফোন রিসিভ করেননা ।
উলটো সে আওয়ামী লীগের সেই প্রভাবশালী লোকদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমির খাঁনকে ফোন করে তাকে প্রাণনাশের হুমকিদেন ।
তখন আমির খাঁন ব্যবসা রক্ষার কথা চিন্তা করে ওমামলা করতে গেলে সেই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা মামলা না করার জন্য ভয়-ভীতি দেখান এবং জাকির এর পক্ষ নেন।
সেই থেকে জাকির প্রতিনিয়ত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন এবং বলেন বিএনপি রাজনীতি করিস। তোকে কোনোভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের চাপে আমি মামলা থেকে বিরত থাকি।
হঠাৎ জাকির হোসেন আমার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন লোক পাঠাতে থাকেন। তাদের কাছ থেকে ইট দিবে বলে জাকির অগ্রিম টাকা নেয়। তাদেরকে আমার দেওয়া ক্যাসমেমো প্রদান করেছিল। ওই লোকগুলো আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে আমাকে হামলা-মামলার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।
তিলে তিলে গড়া আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য আমার স্বাক্ষরিত ক্যাশ মেমো দিয়ে বিভিন্ন মানুষ থেকে ১৪ কোটি টাকা জালিয়াতি করে নেয়া বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোনের মাধ্যমে টাকা তুলে পরিশোধ করি। উল্লেখ থাকে যে আমি অসুস্থতার জন্য ঢাকা যাওয়ার সময় জাকির এর কাছে কিছু ক্যাশ মেমো স্বাক্ষর করে দিয়ে যাই।এই ক্যাশমেমো দিয়ে সে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে।
৫ই আগষ্ঠের পর স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যওয়ার পর থেকে জাকির ও পালিয়ে যায়। দু তিন মাস পর হঠাৎ ঢাকায় বিএনপির কিছু নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেয়। এবং সে বলতে থাকে আওয়ামী লীগের মতন এখন বিএনপি নেতারাও আমার পকেটে। র্যাব সেনাবাহিনী পুলিশ এখন আমার হাতের মুঠোয় এখন তোর টাকা দিয়ে তোর সাথে বুজবো।
এ ধরনের কথা বলে সে পুনরায় আমাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করে।
আমি বিএনপি’র একজন সক্রিয় কর্মী এবং একজন ব্যবসায়ী। আমার প্রতিষ্ঠানের এক হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন।
এই প্রতারক জাকির আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অধিক আত্মসাৎ করে নিয়ে এখনো সে বহালতবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।
আমি বিএনপি’র একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আমি প্রশাসন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে এই প্রতারক জাকির হোসেনকে আইনের আওতায় এনে আমার ব্যবসা থেকে জালিয়াতি করে নেওয়া টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।