৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে স্থায়ী পে-কমিশন গঠন, টাইন ছেন, সিলেকশন গ্রেড পুনঃবহাল, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের মধ্যে সৃষ্ট পদ এবং স্কেল বৈষম্য নিরশনের জন্য সচিবালয় এবং সচিবালয়ের বাহিরের সকল কর্মচারিদের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়নসহ ৭ দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট দাবী

 

মঙ্গলবার ২০ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে মৌলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।

 

মাহমুদুল হাসান বলেন, বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে স্থায়ী পে-কমিশন গঠন, টাইন ছেন, সিলেকশন গ্রেড পুনঃবহাল, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের মধ্যে সৃষ্ট পদ এবং স্কেল বৈষম্য নিরশনের জন্য সচিবালয় এবং সচিবালয়ের বাহিরের সকল কর্মচারিদের এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়নসহ ৭ দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট দাবী জানাই।

 

তিনি আরো বলেন,মোঃ ইউনুস মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের বেতন ও পদ বৈষমা তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে সমন্বয়ক   মাহমুদুল হাসান বলেন- “আমাদের সংগঠনের ব্যানারে ২০১৯ সন থেকে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, বিভাগীয় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ ২৬ মে ২০২৩ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতদ্বসময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির বিষয় বক্তব্য প্রদান করা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও পরর্বতীতে মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর সাথে বেতন বৃদ্ধি ও ভাতাদির অসংগতি দূরকরণ ও বৈষম্যহীন ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য পে-কমিশন গঠন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানের লক্ষে আশ্বাসমূলক আলোচনা হয়। উক্ত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মহাসমাবেশে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির সকল আশাকে নিরাশায় পরিণত করে সরদার কর্তৃক প্রদত্ত ৫% বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়। সরকারের এ ঘোষণায় প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিরা চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুদ্ধ। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত র বিশেষ সুবিধা বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাছাড়াও আমাদের সংগঠনের দাবি ছিল কর্মচারি অংগনে পন ও বেতন বৈষম্য দূর করা। কিন্তু ডা না হয়ে প্রদেয় ৫% বিশেষ সুবিধায় ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের বৈষম্য আরও বৃদ্ধি হয়েছে। ১১-২০ গ্রেডের অধিকাংশ কর্মচারিদের ফুল দেখন ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকার নীচে, তাদের আগামী ৪/৫ বছরেও বিশেষ সুবিধা সর্বনিম্ন ১০০০/- (এক হাজার) টাকার উর্দ্ধে উঠবে না। অথচ ১৮-৯৪ গ্রেডের কর্মচারিদের এ সুবিধা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আমরা এ ধরণের বিশেষ সুবিধা চাইনি। আমরা চেয়েছি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১১-২০ রাজের কর্মচারিদের মূল বেতন বৃদ্ধি। যাতে কর্মচারিরা পরবর্তীতে এর সুবিধা পেতে পারে। উল্লেখ্য যে, তৎকালীন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে মন্ত্রী মোঃ ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী কর্মচারিদের ভাতাদি বৃদ্ধিয করা হবে, সে প্রত্যাশারও কোন প্রতিফলন ঘটেনি। তৎকালীন সরকার কর্তৃক প্রদত্তর দি বিশেষ সুবিধা পুনঃবিবেচনা করে বর্তমান সময়ে বাজারমূল্যের লাগাহীন চরম উর্দ্ধগতি ও মুদ্রাস্ফীতির সাথে সংগতি রেখে ২০% বেতন বৃদ্ধি করে তা মূল বেতনের সাথে সংযোজন ও সকল ভাতাদি যুগোপযোগী করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েও কোন ফল পাইনি।

মোঃ ওয়ারেছ আলী বলেন,অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মো: ইউনুস তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে এ দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রধান উপদেষ্টা দেশের অত্যান্ত ক্রান্তিকালীন সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিরা আশ্রন্বিত হই। আমাদের আত্মবিশ্বাস দেশের সকল সেক্টরের মত কর্মচারি অংগনের বৈষম্য নিরসণ করতে সক্ষম হবেন। দ্রবা-মূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধোগতি ও পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার বহন করা প্রান্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না। ৫ বছর পর পর পে-স্কেল প্রদানের প্রথা চালু থাকলেও ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেল প্রদানের পর দীর্ঘ ৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও অধ্যাবদি নে বৃদ্ধি না হওয়ায় কর্মচারি চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যেখানে গার্মেন্টস প্রমিক কর্মচারি ভাইদের বেতন ২০২৩ সালে ৮,০০০/- থেকে উন্নীত করে ১২,৫০০/- করা হয়েছে পক্ষান্তরে সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন আগ্রডে ৮২৫০/- টাকা যা অত্যন্ত অমানবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, কর্মচারিদের ৯ম পে-স্কেলসহ ভাতাদির অসংগতি দূর করা, পদ ও বেতন বৈষ্যম্য দূর করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আর হৃতক্ষেপ কামাই করা হয়। একইসাথে অনতিবিলম্বে সকল দপ্তর অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে বেতন ও পদবী বৈষম্য দূর করে কর্মচারি অংসনের বৈদ্যম্য বিে ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের কর্মচারিদের হরণ করা ৩টি টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহালসহ প্রজাতন্ত্রের সরল কর্মচারিদের এক ও অবিচ্ছন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান উপদেষটার কাছে জোর দাবি জানাই।

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের দাবীনামাসমূহঃ

– (১)পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যহীন ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে-কমিশন গঠন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে। ইতোমধ্যে যে সকল কর্মচারী মূলবেতনের শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেলে নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

(২)সচিবালয়ের ১৯৯৫ সালের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের। প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, হিসাব রক্ষক এবং সাঁটলিপিকারসহ সমপদগুলির পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নামকরণসহ ১০ গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।

(৩. ) ২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেলের গেজেটে হরণকৃত ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূর্ণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহাল এবং সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

(৪) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে আত্মীকরণ করতে হবে।

(৫)ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে।

(৬)বাজারমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন ব্যবস্থার প্রর্বতন করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

(৭). উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকুরীকাল গণনা করে টাইমক্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে নং-অম/অবি (বাচ্চ-৪)/বিবিধ-২০ (উঃদ্ধেঃ/০৭/৪৭, তারিখ-২৪-০৩-২০০৮খ্রি. যোগে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত বৈষম্যমূলক আদেশ বাতিল করতে হবে।

উপরোক্ত ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে আগামী ৩০-০৮-২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় শাহবাগ, ঢাকা (জাতীয় জাদুঘর) এর সামনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

উক্ত সাবাস সান্দেলনে উপস্থিত ছিলেন,মোঃ মাহমুদুল হাসানের সঞ্চাল মুখ্য সমন্বয়ক, জনাব ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ ছালজার রহমান, সমন্বয়ক ও মহাসচিব, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি নদিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি।

আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ লুৎফর রহমান, সভাপতি-১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরীজীবি ফোরাম, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সমন্বয়ক ও সভাপতি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, আনিছুর রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, আসমা খানম, সভাপতি, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,রফিকুল আলম, সভাপতি, ১৭-২০ সরকারি কর্মচারী সমিতি, জনাব শাহ মোহাম্মদ মামুন, সভাপতি-বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, মায়ের আবদেন এ মজুমদার, সমন্বয়ক ও সেক্রেটারী- বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন, জনাব মোঃ গাজীউল হক চৌধুরী, সমন্বয়ক ও সেক্রেটারী, বাংলাদেশ এলদিক শিক্ষক সমিতি, রবিউল ইসলাম, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক, ১৭-২০ সরকারি কর্মচারী সমিতি রায়হান উদ্দিন চৌধুরী, কার্যকরী সভাপতি, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি নিম্নে উল্লিখিত সহ সমন্বয়কবৃন্দ ছাড়াও বিচ্ছিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন- শফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, আফরোজ আলী মোল্লা, আবুল কালাম আজাদ, সাউদ নূর এ শফিউল কাদের, আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম মামুন, তারিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মাহবুব হক তালুকদার, কায়সার হোসেন, সারোয়ার হোসেন তালুকদার, আব্দুল মালেক, সেলিম মেজা, ফি রহমান, মোঃ হেলাল উদ্দিন, শেখ সাদী খান, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ মনিরুল ইসলাম (ফেডারেশন), মনির হোসেন বাবু, রবিউল ইসলাম, আব্দুল হালিম, টি এম আকির হোসেন, মনিরুল ইসলাম (৩য় শ্রেণী), নূর মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মৌসুমী প্রধান, আশিকুল ইসলাম, শেখ মোঃ রাসেল, রাশেদুল আলম, রায়হান দিয়া,আঃ লতিফ গাজী, শফিকুল ইসলাম, আশফাকুল আশেকিন, ফরিদ আহমেদ সরদার, শাহীনুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ