জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ‘দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে, গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নেমে আসে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আন্দোলনে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আর তাই, বিএনপির যে ৬০ লক্ষ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার সুবিশাল অংশ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ায়। ফলে যার-যার অবস্থান থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসে বিএনপি ও সমমনা সকল রাজনৈতিক দল, তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিসমূহ।’
‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথযাত্রায় বিএনপির ভূমিকা, অবদান ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণকে বারবার ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতাকে যখনই গ্রাস করেছে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।’
‘১৬ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে চূর্ণ করে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তির স্বাদ পায়, গণতন্ত্রের পথ সুগম করে। অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার রয়েছে, যাদের বছরের পর বছর ধরে ত্যাগের মহিমায় আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জুলাই গণহত্যায়’ ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন মানুষ, যার মাঝে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। দেশ জুড়ে শহীদ হওয়া সকল শ্রেণী-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর এ বিশাল অংশ যে বিএনপিরই নেতা-কর্মী – এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় – বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।’
তিনি বলেন, ‘পোশাকশ্রমিক কিংবা রিকশাচালক; পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র; বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী; সকল মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি – হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান।’
‘আর তাই, সমান গুরুত্বের সাথেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা ও নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যে জাতীয় ঐকমত্য আমরা দেখতে পাই, তা কিন্তু হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটি মূলত অবৈধ সরকারের অত্যাচার-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন, বঞ্চনা-অবজ্ঞা, এবং শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’ বলে উল্লেখ করেন ফখরুল।
‘আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন ছাত্রদলের ওয়াসিমও প্রাণ হারান’
বিএনপি মহাসচিব জানান, ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে নির্মমভাবে হত্যা করে পুলিশ; একই দিন চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরামকেও হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডগুলোতে সমগ্র বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, বেগবান হয় আন্দোলন।
‘১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় আন্দোলনে পানি বিতরণ করতে গিয়ে, পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্র মীর মুগ্ধ; একই দিন যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল নেতা ইরফান ভুঁইয়া ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির।’
‘এরই মাঝে ১৭ জুলাই, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি পুলিশের অভিযানের নামে মঞ্চায়িত হয় সাজানো নাটক, বলপূর্বক বন্ধ করা হয় কার্যালয়ের কার্যক্রম। বাসায়-বাসায় অভিযান চালিয়ে, বিএনপির অর্ধশত প্রথম সারির নেতাসহ ৩ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রুহুল কবির রিজভী, জহিরউদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন এ্যানী, শিমুল বিশ্বাস, আমান উল্লাহ আমান, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. রফিকুল ইসলাম, নাসিরউদ্দিন অসীম, সাইফুল ইসলাম নীরব, আমিনুল হক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ, নিপুণ রায় চৌধুরী, ডা. শাখাওয়াত শায়ন্ত সহ আরও অনেক সক্রিয় নেতা।’
ফখরুলের মন্তব্য, ‘এ গণগ্রেফতার প্রমাণ করে যে, স্বৈরাচারের পতন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতোই বিএনপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে, এবং আন্দোলনকে দমন করতে নিপীড়নের মাত্রা বাড়ায়।’
‘বহুমাত্রিক নিপীড়ন মোকাবিলা করেই বিএনপি নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাজপথের অগ্রভাগে ছিল। বিশেষত, আগস্টের ৪ এবং ৫ তারিখে, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করার সংগ্রামে জীবন দেন ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাসেল, জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রাসেল মাহমুদ, যশোর জেলা ছাত্রদল নেতা সাকিবুল হাসান মাহি, প্রমুখ। এভাবে শুধু ছাত্রদল থেকেই, একে-একে কমপক্ষে ১১৩টি তাজা প্রাণ ঝরে পড়ে ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানে।’
দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বিএনপি শতাধিক নেতা-কর্মী
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলো ভ্যানে স্তূপ করে গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ, যার মধ্যে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সজলও ছিলেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে এ ধরনের বর্বরতা কেবল কিছু জীবনকে নিঃশেষ করা নয়, বরং মানবতার ওপর একটি গভীর আঘাত। শুধু তাই নয়, গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী দৃষ্টিশক্তি হারান, যার মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাতেই তুষার, হারেস, শাহজালাল সহ ৬ জন ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে সমগ্র বাংলাদেশের এক দফা দাবি আর বিএনপির ত্যাগের পটভূমি সৃষ্টি হয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। উত্তাল রাজপথে এ পুরোটা সময় গুম-খুন, হামলা-মামলা, দমন-দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েও, জনগণের প্রতিবাদের প্রতিনিধি হিসেবে রক্তস্নাত সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে বিএনপি।’
‘রাজনৈতিক হয়রানির অংশ হিসেবে, গায়েবি মামলায় সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, হত্যা, নাশকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সহ নানা বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়।’
‘প্রহসনের মামলা ও সাজানো রায়ের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আটক করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। অন্যায়ভাবে তাঁর বাড়ি কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়, এবং নির্জন পরিত্যক্ত কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রেখে, তাঁকে প্রাপ্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়।’
দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর লাশগুলো ভ্যানে স্তূপ করে গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ। যার মধ্যে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সজলও ছিলেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে এ ধরনের বর্বরতা কেবল কিছু জীবনকে নিঃশেষ করা নয়, বরং মানবতার ওপর একটি গভীর আঘাত। শুধু তাই নয়, গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী দৃষ্টিশক্তি হারান, যার মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলাতেই তুষার, হারেস, শাহজালালসহ ছয়জন ছিলেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে সমগ্র বাংলাদেশের এক দফা দাবি আর বিএনপির ত্যাগের পটভূমি সৃষ্টি হয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। উত্তাল রাজপথে এ পুরোটা সময় গুম-খুন, হামলা-মামলা, দমন-দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েও জনগণের প্রতিবাদের প্রতিনিধি হিসেবে রক্তস্নাত সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে বিএনপি।’
‘রাজনৈতিক হয়রানির অংশ হিসেবে গায়েবি মামলায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, হত্যা, নাশকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিসহ নানা বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রহসনের মামলা ও সাজানো রায়ের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আটক করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। অন্যায়ভাবে তার বাড়ি কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় এবং নির্জন পরিত্যক্ত কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রেখে তাকে প্রাপ্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়।’
শেখ হাসিনার পতন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির যে ৬০ লাখ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস– গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধুর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার আর কারাগারে বন্দি ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের সকলের ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্রু দিয়ে প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। বস্তুত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ ১,৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ– এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়। বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া মহাসচিবের বিরুদ্ধে অন্তত ৯৩টি মামলা; মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যের বিরুদ্ধেও গণহারে গায়েবি মামলা; সালাহউদ্দিন আহমেদকে গুম করে দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়া; বিগত ১৭ বছরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাবরণ করেছেন।’
‘এক নেতার বিরুদ্ধে ৪৫১টি মামলা’
বিএনপি মহাসচিব জানান, হাজার হাজার বিএনপি নেতা আছেন, যারা একেকজন শতাধিক মামলার বেড়াজালে আবদ্ধ। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এসএম জাহাঙ্গীর, রাজীব আহসানের মতো অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০০ এর অধিক মামলা। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রফিকুল ইসলাম মজনু, সাইফুল আলম নীরব, ইসহাক সরকারসহ অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩০০ এরও বেশি মামলা। হাবিব-উন-নবি সোহেলের বিরুদ্ধে রয়েছে রেকর্ড ৪৫১টি মামলা।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বিএনপির সেইসব নবীন কর্মী, যারা এখনও কোনো পদে আসেনি, শুধু বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী, তারাও রাজনৈতিক জিঘাংসার শিকার হয়েছে। তারুণ্যকে স্বপ্ন দেখানো এসব উদীয়মান নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের করে তাদের শিক্ষা ও কর্মজীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়েছে, বীভৎস নির্যাতন করেছে। কিন্তু অনেকের মতো টলাতে পারেনি আদর্শ থেকে, বের করতে পারেনি মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা সাজানো বক্তব্য।
‘প্রায় ৭০০ গুম হয়েছেন’
অস্বাভাবিক নিপীড়নের শিকার হয়ে ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, চৌধুরী আলম, হুমায়ুন পারভেজ, সাজেদুল ইসলাম সুমন, জাকিরসহ কেবল বিএনপির ৪২৩ জন নেতাকর্মী এবং সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন গুম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন বিএনপির ১,৫৫১ জন নেতাকর্মী। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।