
জাতির সংবাদ ডটকম।।
সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের মোকামবাড়ী শিমুলতলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এছাড়াও এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী রুজিনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে রুজিনা বেগম জানান, তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার মোকামবাড়ী গ্রামের মখলিছ আলীর পুত্র প্রবাসী ব্যক্তির স্ত্রী। তার স্বামী দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সৌদি আরবে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। দেশে ফিরে ২০২১ সালে রুজিনা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। এ সময় প্রবাসে অর্জিত অর্থ পরিবারের কাছে হিসাব চাইলে পরিবারের সদস্যরা গড়িমসি শুরু করেন। পরে স্থানীয় সালিশে প্রমাণ হয় যে, প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে স্বামী পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রায় ২৯ লাখ টাকা দিয়েছেন।
এরপর টাকা ফেরতের দাবি জানালে শাশুড়ি সৈয়দুন নেছা, দেবর সুবেল আহমদ ও তার স্ত্রী সুমি বেগম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন রুজিনা বেগম। কিছুদিন পর তার স্বামী ঋণ পরিশোধের জন্য পুনরায় সৌদি আরব চলে গেলে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান নিতে বাধ্য হন।
রুজিনা বেগম বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুযোগ বুঝে শাশুড়ি সৈয়দুন নেছা, দেবর সুবেল আহমদ, সুবেলের স্ত্রী সুমি বেগম, মক্তার আলী, ভাগনা রেজাউল ইসলাম, ইছাক আলী ও তার ভাই সানজাব আলী জোরপূর্বক তার ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে।
পরদিন তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্তরা গেইট না খোলায় ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরে প্রবেশ করলে দেখা যায়, নগদ ৬০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে অভিযুক্তরা।
রুজিনা বেগম অভিযোগ করেন, “আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালেও তারা কোনো সহায়তা করেননি। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রবাসে থাকা আমার স্বামী এই ঘটনার কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। আমি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা কামনা করছি.