জাতির সংবাদ ডটকম।।
বিশিষ্ট চিকিৎসক ও পেশাজীবী নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা: এজেডেম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী আজ ২৪ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার এক যুক্তবিবৃতি অবিলম্বে ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নি:শর্ত মুক্ত দাবি করেন।
পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু দেশের একজন গর্বিত সন্তান। তাঁর মতো একজন পেশাদার চিকিৎসককে গ্রেফতার দেশের জন্য সুনাম ও কল্যাণ বয়ে আনবে না। বিবৃতি তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে পেশাজীবীদের এই দুই নেতা বলেন,রফিকুল ইসলাম বাচ্চু একজন সম্মানীয় মানুষ। তাঁকে আটকের পর র্যাবকে কেন চোর ,ডাকাত, খুনী,সন্ত্রাসীদের মতো ফটোসেসন করে তা জনসম্মুখে প্রচার করতে হবে? আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হ্টকারিতার পথ পরিহার সকল নাগরিকের জান,মাল ও ইজ্জতসহ সবধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানাই।
বর্তমান সরকারের আমলে পেশাজীবীরা ন্যূনতম সম্মান ও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুই নয় ইতোমধ্যে অন্তত আরো ৩০জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের (জেইউজি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটন, বিশিষ্ট চিকিৎসক, খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মইনুল হোসেন সাদিক ও প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ, গাইনোকলজিস্ট ডা. ফাতেমা সিদ্দিকী, ডা. আতিকুল ইসলাম, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ হোসাইন, সুপ্রিম কোর্ট বারের এডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন ,এডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ,এডভোকেট মাহমুদুল হাসান মিলন এডভোকেট জুয়েল মুন্সির সুমন, চাঁদপুর থেকে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান,রাজবাড়ী থেকে এডভোকেট মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বাবু,গোপালগঞ্জ থেকে তৌহিদুল ইসলাম,বরিশাল জেলা এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, এডভোকেট আলী হায়দার বাবুল ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি, ফরিদপুর থেকে এডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, এডভোকেট আইয়ুব খান ও এডভোকেট খসরুল ইসলাম,বরগুনা থেকে এডভোকেট আব্দুল বাসি মতিন এডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন এডভোকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম,
হবিগঞ্জ থেকে এডভোকেট ফাতিমা ইয়াসমিন, কৃষিবিদ সানোয়ার হোসেন,ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকসহ অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এভাবে পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন ,নিপীড়ন ও দু:শানের কারণে দিন দিন এদেশ মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এভাবে পেশাজীবীদের হেনস্থা করা অব্যাহত থাকলে দেশের কৃতি ও মেধাবী সন্তানরা দেশে থাকতে চাইবে না।তাই আমরা পেশাজীবীবীসহ ভিন্নমতের উপর দমন-পীড়ন বন্ধ, দেশে গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, বিচারালয়ের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনেকরি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।তাই আমরা একপক্ষীয় নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে নির্বাচবে সব দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজনের আহবান জানাচ্ছি।