সাজানো নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছে তারা শোষক ও লুটেরা — এবি পার্টি  

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩

 

 

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। মিছিল থেকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে প্রহসন বন্ধ করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। ৭ জানুয়ারী নির্বাচন হলে দেশ আবারও একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দলটির নেতারা।

সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ বিকেল ৩ টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে তা কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, পুরানা পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এই অবৈধ জালিম সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরী ৭১ এর রাজাকার আলবদরদের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ দিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ বিজিবি আজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আওয়ামী কালেবাজারী সিন্ডিকেট বাহিনী একদিনে পিয়াজ সহ দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে জনমনে হাহাকার তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারীর এই প্রহসনের নির্বাচন হতে পারে না, এটা বাংলাদেশের জনগণ হতে দিবেনা।

 

সমাবেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন; অবৈধ সরকারের সাজানো নির্বাচন দিনের পর দিন হাসি তামাশার রঙ্গে পরিণত হচ্ছে। এই নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই দূর্নীতিবাজ, ডাকাত। দেশের মানুষ চরম আর্থিক সংকটে থাকলেও গত ১৫ বছরে এরা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল শোষক আর শোষিত। ২০২৩ ও ২৪ সালে এসেও মানুষ আজ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ হলো যারা এই সাজানো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সেসকল লুটেরা ডাকাত বাহিনী আর অপরপক্ষে আমরা যারা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি সেসকল মজলুম বঞ্চিত জনগণ। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন মজলুম বঞ্চিত জনগণের বিজয় হবেই হবে ইন’শাআল্লাহ।

 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আজ গণভবনে ঘুরাঘুরি করছে আওয়ামী রাজাকার, আলবদররা। সিট কিংবা অর্থ ভাগাভাগি করেও সরকার দালাল সংগ্রহে ব্যার্থ। আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী এখন গোটা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের সহায়তা গ্রহণকারী জনগণকে হুমকি দিচ্ছে, তাদেরকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই ভাতার টাকা কারো বাপের টাকা নয়। এটা জনগণের টাকা। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কেউ পার পাবেনা ইনশাআল্লাহ।

 

সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, এই বাকশালি সরকারের পতন আন্দোলনে এবি পার্টি যে সংগ্রাম করছে তা এই ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তিনি আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

 

মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, রুনা হোসাইন, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মশিউর রহমান মিলু, শাহীনুর আকতার শীলা, মাহমুদ আজাদ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।