ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সকালে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ১৩২টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ, উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড্ডাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন ভিড় ছিল না।
নিজেদের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
নানা কারণে আলোচনায় থাকা সরাইল ও আশুগঞ্জ এলাকার এ আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে এক হাজারের বেশি পুলিশ, দেড় শতাধিক আনসার, চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১০ টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
সেই সঙ্গে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন ভোটের মাঠে। তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন ভোটারের এ আসনে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মৃধা, আবদুস সাত্তার ভূঞা (উকিল আবদুস সাত্তার), আবু আসিফ আহমেদ।
আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ না নিলেও নেতাকর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন পাঁচবারের এমপি উকিল সাত্তারকে।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির অন্য সংসদ সদস্যদের মতো সাত্তারও পদত্যাগ করেন। তবে ফাঁকা আসনে উপনির্বাচনে দাঁড়াতে দলের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করেন তিনি।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসিফকে, ভোটের দিনও যার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ ‘নিখোঁজ’ আছেন বলে দাবি করেছে পরিবার। আসিফের সন্ধান ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা।
তবে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আসিফ নিজেই নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন বলে তার ধারণা।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিসা তার স্বামীর অন্তর্ধানের জন্য পুলিশের দিকে ইঙ্গিত করলেও আনিছুর বলছেন, এর সঙ্গে ‘সরকারি কোনো বাহিনী জড়িত নয়’ বলে তারা জানতে পেরেছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর দিন তারা সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। উকিল সাত্তারও পদত্যাগ করেছিলেন।