স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. রাজ্জাক

মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করায় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (১৮ মার্চ ) সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ১৮ মার্চ ২০২৪, সোমবার রাজনৈতিক সফরে বিদেশ গমন করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

 

 

ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ম. আব্দুর রাজ্জাক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দীতে। তিনি ১৯৮১ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২য় স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিকে সরকারী কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯৮৩ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ৩য় স্থান অর্জন করেন।এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৮৮ সালে মাস্টার্স শেষ করেন।

 

ছাত্রজীবনে তিনি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডাকসুর সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠিত হলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের পুনরায় সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমান কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সদস্য।

 

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৮২, ১৯৮৭ এবং ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নেতা হিসাবে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিন বার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছিলেন। ২০০৭ সালে ১/১১ তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পূর্বে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য তাকে বারংবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি শত নির্যাতনের পরেও তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।দীর্ঘ ৭ মাস ১৩ দিন কারারুদ্ধ থাকার পর তিনি মুক্তি পান।