বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও ব্যাংক লুটের ঘটনায় এবি পার্টির উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা! 

শুক্রবার, এপ্রিল ৫, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

এবি পার্টির গণ-ইফতার থেকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দূর্গম এলাকা থানচি, রুমা ও আলী কদম থানায় সন্ত্রাসী হামলা এবং ব্যাংক লুটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। দলের নেতারা এই ঘটনায় জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতার সমলোচনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। আজ বিকেল ৫ টায় রাজধানীর বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে আয়োজিত গণ-ইফতারে সভাপতিত্ব করেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। মহানগর উত্তরের আলতাফ হোসেইনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম নান্নু প্রমূখ।

 

মজিবুর রহমান মঞ্জু তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন; পার্বত্য অঞ্চলে কুকি চিন তথা কেএনএফের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে ব্যাংকের টাকা লুট, থানা আক্রমণসহ যে ভয়ানক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আমাদের জানা নেই। গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও তারা অপহরণ করেছিল। পুলিশ ও আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে তো পারেই নি বরং নিজেদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি তারা সন্ত্রাসীদের হাতে সমর্পন করেছে। অথচ এই পুলিশ ও আনসার বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করতে খুব সিদ্ধহস্ত! তিনি জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমলোচনা করে বলেন; এই সশস্ত্র হামলার সম্পূর্ণ দায় সরকারের কারণ তারা আগে বলেছিল পাহাড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং কুকি চিনের সাথে তাদের একটা সমঝোতা আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন; থানচি, রুমা ও আলী কদমে যা ঘটেছে এতে পরিস্কার জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার তার দলীয় নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের নিরাপত্তায় যত তৎপর জনগণের বিষয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই। তিনি বলেন প্রশাসন যদি এই ঘটনার কোন বিচার বা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে দেশের বহু এলাকায় আওয়ামী ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নেতৃত্বে ৭৩, ৭৪ সালের মত এ ধরনের সশস্ত্র গ্রুপের জন্ম হবে। কারণ সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে এখন অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। জনগণের বাড়ী ঘর ও ব্যাংক লুটের অতীত অভ্যাস আবার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

গণ-ইফতার দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।