জাতির সংবাদ ডটকম।।
গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভেল বিশ্ব বিখ্যাত কারী কিং টমি মিয়া এম.বি.ই এর রান্না প্রদর্শনী যার মাধ্যম আন্তর্জাতিক রন্ধন শিল্প বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা এবং গ্রেট ব্রিটেন বহু সংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আতিথিয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সমর্থন, দার্তব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টমি মিয়া এম.বি.ই’র সভাপতিত্বে হোটেল এ্যারিস্টোক্র্যাট ইন লিমিটেড, গুলশান, ঢাকায় টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এর উদ্যোগে গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভেল বিশ্ব বিখ্যাত কারী কিং টমি মিয়া এম.বি.ই এর রান্না প্রদর্শনী যার মাধ্যম আন্তর্জাতিক রন্ধন শিল্প বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হয় এবং গ্রেট ব্রিটেন বহু সংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আতিথিয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সমর্থন, দার্তব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর ট্রেড ব্রিটিশ হাই কমিশন, শাহ ওয়ালীউল মনজুর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, এসিবিএ, ইউকে, প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হুমায়ুন কবির, ভাইস চেন্সেলার, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা, ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ, ইয়াসির আরাফাত, কো ফাউন্ডার আপন বাজার, ড. ওয়ালী তাসার উদ্দীন এমবিএ, প্রেসিডেন্ট অব ইবিএফসিআই, প্রফেসর আজাদ, বার্ডেম হাসপাতাল, মোঃ তাজুল ইসলাম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, কন্ঠশিল্পী মেহরীন, নায়ক সাজ্জাদ হোসেন, সুমন মিয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহিন শাহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিশ্ব বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টমি মিয়া এম,বি,ই দীর্ঘকাল ধরে ফুড ফেস্টিভ্যাল উদযাপনের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। ১৯৭৫ সাল থেকে কর্মজীবনের সাথে তিনি অক্লান্তভাবে গ্রেট ব্রিটিশ কারী স্বাদ প্রচার করছেন, প্রশংসা অর্জন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য রান্নার বই। এই বই লেখার পিছনে প্রয়াত এইচ এম রানি এলিজাবেথ এর ভূমিকা রয়েছে।
টমি মিয়ার বিশ্বজুড়ে ফুড ফেস্টিভেল আয়োজনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। সূচনা থেকেই এডিনবার্গ ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভেলে নিয়মিত উপস্থিত রয়েছেন। তার রাজ রেস্তোরাঁ ১৯৮০ সাল থেকে ফুড ফেস্টিবলের জন্য একটি বিখ্যাত স্থান। যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন শিল্পীদের তার উৎকর্ষের প্রতি তার উৎসর্গ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
২০১৮ সালে বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগ ভারত ও যুক্তরাজ্য ক্রিয়েটেক শীর্ষ সম্মেলনে গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে টমি মিয়ার দক্ষতাকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তিনি তার বিখ্যাত ফুড ফেস্টিভেলটি মুম্বাইয়ের ল্যান্ড এন্ড হোটেলে নিয়ে এসেছিলেন এবং এইচ আর এইচ প্রিন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মানিত অতিথি ছিলেন যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন দূত হিসেবে টমি মিয়ার সুনামকে আরো দৃঢ় করে। এখন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি গর্বের সাথে তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় উচ্চ বিলাসী প্রচেষ্টা ঘোষণা করেছেন। এটি শুধুমাত্র রান্নার প্রদর্শনী নয় বরং এটি আন্তর্জাতিক কারী বাণিজ্য কে উৎসাহিত করা, গ্রেট ব্রিটেন বহুসংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আথিতেয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে সমর্থন এবং অমূল্য সংযোগের সুযোগ প্রদানের একটি প্লাটফর্ম।
ফেস্টিভ্যালের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল দাতব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করা। জিভিসিএফ হলো ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত টমি মিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান শেফ অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা ও আথিতেয়তা পুরস্কারের একটি বিভাগ, যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন প্রতিভাকে স্বীকৃতি ও উদযাপনের প্রক্রিয়াকে আরও দৃঢ় করে।
একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিখ্যাত শেফ টমি মিয়া ব্রিটিশ ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সমর্থন ও সহযোগিতার মাধ্যমে লন্ডন, পর্তুগাল, আজারবাইজান, বাকু, বাংলাদেশ এবং নেপালে বুকিং নিশ্চিত করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান আয়োজনের আলোচনা চলছে।
জি বি সি এফের এর জন্য টমি মিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি চিরাচরিত প্রথার বাহিরে ও প্রসারিত। এটি ৬০ এবং ৭০ দশকের রন্ধন শিল্পীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার এক উচ্চববিলাসী অভিপ্রায় যা দ্বারা পূর্ব পুরুষের সংগ্রাম ও ইতিহাস, ঐতিহ্য মানুষের সামনে তুলে ধরার এক আপ্রাণ প্রচেষ্টার একটি অংশ। এখন যুক্তরাজ্যে ১০,০০০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং ৫ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি ব্যবসা হচ্ছে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের রন্ধন শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করতে চান, তরুণ প্রতিভাদের কারি শিল্পে যোগ দিতে এবং অব্যাহত সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করছেন। এমন এক সময়ে যখন রেস্টুরেন্ট গুলি পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিভাদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।