বাংলাদেশ পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত 

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন:

আমরা বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় “কাজ নাই ভাতা নাই” ভিত্তিতে বিগত ২৪/০৫/২০১৬ইং তারিখ হতে কর্মরত আছি। যোগদানের পর হতে আমরা নিয়মিত ভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে আসছি।

 

সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়লা আক্তার এই কথা বলেন।

 

বাংলাদেশ পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়লা আক্তার বলেন, আপনাদের মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি , আমরা বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় “কাজ নাই ভাতা নাই” ভিত্তিতে বিগত ২৪/০৫/২০১৬ইং তারিখ হতে কর্মরত আছি। যোগদানের পর হতে আমরা নিয়মিত ভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে আসছি। এছাড়াও আমরা নব বিবাহিত দম্পতিদের পদ্ধতি গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করা, গর্ভবতী মা রেফার করা, গর্ভগলীন সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে ক্লায়েন্ট রেফার ও সেবা দেওয়ার সহযোগিতা করা, ইপিআই কার্যক্রম, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন, হাম রুবেলা ভ্যাকসিন প্রদানে সহযোগিতা ও কোডি৩- ১৯ ভ্যাকসিনেশনে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি। কিশোর কিশোরী সেবা ও পরামর্শ দেওয়া, শিশু রোগীদের সেবা (নবজাতক) ও পরামর্শ দেওয়া, স্বাস্থ্য সেবা, গর্ভবতী মায়েদের তালিকা হালনাগাদ করা, জন্য মৃত্যুর তালিকা হালনাগাদ করা ও প্রদান করা, উঠান বৈঠকের আয়োজন করা ও সচেতনতামূলক পরামর্শ নেওয়া, কোডিড-১৯ (নভেল করোনা ভাইরাস) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, সক্ষম দম্পতিদের ও যুব দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহন নিশ্চিত করা, যুব দম্পতিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া ও তাদের স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করা, প্রদত্ত রেজিষ্টার নিয়মিত আপডেট করা, নিয়মিত প্রতি মানে রিপোর্ট প্রদান করা সহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সারা দেশব্যাপি মরণ ব্যায়ী কোভিচ- ১৯ এর দুর্যোগ কালীন সময়ে আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে সকল সক্ষম দম্পতি সহ বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের তালিকা সংগ্রহ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করেছি এবং নিয়মিতভাবে পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী প্রতিটি সক্ষম দম্পতির নিকট বাড়ি বাড়ি পৌঁছি দিয়েছি। উক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাকালীন সময়ে অনেক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে এমনকি বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন। উক্ত পদে আমরা যারা বিগত ৯ বছরের অধিক সময় ধরে চাকুরী করে আসছি এদের মধ্যে অনেকেই বিধবা ও এমী পরিভ্যাস এমনকি কর্মরতদের অধিকাংশের ইতিমধ্যে চাহনীর বাস অতিক্রান হয়েছে। কর্মরতদের অনেকের একমাত্র অবলম্বন এই চাকুরী। আমাদের সন্তানাদি সহ পরিবাাের লোকজনদের দেখাশুনা ও পরিচালনার দায়িত্ব অনেকাংশে আমাদের উপর নির্ভরু। আমরা যে বেতন পাই তাতে আমাদের পরিবারের ভরনপোষন করতে খুবই কষ্ট হয় এবং অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। যদি আমাদের চাকুরী না থাকে তাহলে আমরা না খেয়ে মরব। তাই আমাদের কার্যক্রমের সফলতার সার্বিক দিক সুবিবেচনা করে এবং আর্থিক কষ্ট লাঘব করার জন্য বিভাগীয় কাজের স্বার্থে আমাদের আর্থিক দূরাবস্থার কথা সুবিবেচনা করে আমাদের চাকুরী পূর্নবহাল লক্ষ্যে আপনাদের মাধ্যমে মানবতার নেত্রী গনতন্ত্রের মানসকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মহাপরিচালক, পরিচালক (প্রশাসন) সহ সংশ্লিষ্ট মহোদয়গনের দৃষ্টি গোচর করছি।

 

উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন,বাংলাদেশ পেইড পেয়ার ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি অনামিকা চাকমা, মানববন্ধন কর্মসূচি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়লা আক্তার বক্তব্য রাখেন শাহেবুল সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।