পুরুষ এবং নারীর রাজত্ব

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০২৪

।।মরিয়ম লিপি।।

পুরুষ তুমি কার?আগে বলতো সখি তুমি কার?ফর্মালিনের সাথে সাথে পুরুষদের স্বভাবেও ভেজাল আর ভেজাল,পুরুষের ভিতর কিছু দম্ভ কাজ করে,নিজের মত সকল কিছু হাতের মুঠোয় পেতে চায়,নিজের মত ঘরের বউ কে বন্দী রেখে,বউকে সকল সুখ থেকে বঞ্চিত করে,দিনের পর দিন নিজের অন্যায় আবদার কে চাঁপিয়ে দিচ্ছে,নিজের মনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে একটি মেয়েকে কত টা নির্যাতিত করছে সেটা বুঝার ক্ষমতা তারা হারিয়ে ফেলে,আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে স্বীকার করবেতো দূরের কথা অনুশোচনা বোধও থাকেনা,আর কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা ঘরের বউ এর কাছে ভালো স্বামী ভাব নিয়ে বাইরে একটার পর একটা ভোগ করে যাচ্ছে নারীদের,তাদের ভাব টা এমন তারা পুরুষ তাই তাদের সব মানায়,তারা কাকের মত নিজেদের চালাক মনে করেন,আর কিছু পুরুষ আছেন বউ এর সব সাপোর্ট পেয়েও সন্তুষ্টি নেই,বাইরের নারীদের স্বাদ নিতে না পারলে তাদের জীবন বৃথা,তারা ঘরেও বউদের উপর মানুষিক নির্যাতন করছে,আবার বাইরে নারীরা তাদের কাছে কদমতলার ফুল সুবাসিনী, নারীকে যেসব পুরুষ সম্মান দেন ঘরে বাইরে তারা মহৎ, তবে এদের সংখ্যা খুব কম,নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে চাঁপিয়ে দেওয়ার আগে ভেবে নিন যাকে চাঁপিয়ে দিচ্ছেন তার ভিতরের অবস্থান,কতটুকু সে নিতে পারবে, তোমার দেওয়া সেই অনিচ্ছাকৃত বোঝা,পৃথিবীতে প্রতিটি সম্পর্কের মুল্যায়ন করার প্রবণতা গড়ে তুলুন,পাশে থাকা নারীটি কেউ আপনার জীবনসঙ্গিনী, কেউ আপনার প্রিয়তমা,কেউ আপনার বান্ধুবি,সেই সকল সম্পর্ক একা একজনের চাওয়া পাওয়ার উপর টিকে থাকে না,উভয়কে নিজ নিজ স্থান থেকে মুল্যায়ন করার ক্ষমতা রাখতে হবে,তুমি পুরুষ তাই তোমার চাহিদার মুল্য বেশি থাকবে,আর সে নারী তার ইচ্ছা অনিচ্ছার মুল্য থাকবে না বা কম থাকবে তাহলে সেই সম্পর্ক কোনোদিক মধুর হয়ে উঠেনা,সেই সম্পর্কের স্থায়িত্ব কম থাকে,তাই পুরুষ রা হ্যা আপনাদের বলছি নারীদের সম্মান দিতে চেষ্টা করুন, তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে মুল্য দিতে চেষ্টা করুন,আপনার একটি হ্যা আপনার পাশে থাকা প্রিয় মানুষটির জীবন কতখানি বদলে যেতে পারে,কত টা আনন্দঘন হয়ে উঠতে পারে সেটা ভেবেছেন?না ভাবলে আজ থেকে ভাবুন,অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি পন্ডিতের মত বলছি কী এমন ঠ্যাকা পড়েছে শুনতেই হবে?তাহলে জীবনে আরেক বার ঠকার পথ খুলে রাখলেন,এইসব করে নিজে নিজের কাছে ভালর সার্টিফিকেট পাবেন কিন্তু বিবেকের কাছে নয়।২দিনের এই জগৎ এ একটু সুখের আশায় সবাই চাতক পাখির মত চেয়ে থাকে,সেই সুখ টুকু কাউকে ফিরিয়ে দিতে খুব বেশি কষ্ট নয় আপনার ভাবনাকে একটু পরিবর্তন করে তাকে সুখে রাখুন যার জীবন আপনার উপর নির্ভর করছে,আর যেসমস্ত নারীরা তাদের স্বামীদের উপর নিজের ইচ্ছা কে জোড় করে চাপিয়ে দিচ্ছে যা আপনার স্বামীর জন্যে সাধ্যকর নয় তবুও নিজের ইচ্ছা কে চাঁপিয়ে দিন,স্বামিদের যেমন দায়িত্ব বউ কে বা জীবনসঙ্গিনী কে ভালো রাখার তেমনি আপনার বেলায়ও ঠিক একি দায়িত্ব,কিছু কিছু নারীরা মনে করেন স্বামীরা গাছ থেকে পড়ে যাওয়া ফল তাই বিয়ের পর স্বামীর নিজস্ব বেড়ে উঠা জগৎ, নিজের বাবা মা কে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন,স্বামিকে তার বাবার মায়ের, ভাই বোনের প্রতি কোন দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত করেন,এগুলো খুবি ছোট মনের পরিচয়,মনে রাখবেন একদিন আপনি নিজেও মা হবেন,শাশুড়ি হবেন,আপনার নিজেরও সন্তানের প্রতি আশা জন্ম নিতেই পারে,তাই বার বার বলছি প্রত্যাকের প্রতিটি সম্পর্ক কে মুল্য দেওয়ার প্রবণতা তৈরি করুন,আর মনে রাখবেন জোড় করে পৃথিবী তে কিছু করার ফল কখনোই ভালো হয়না,তাই একে অপরের মন কে সম্মান করার প্রবণতা তৈরি করুন,নিজে ভাল থাকুন অন্যকে ভাল রাখুন,আপনাদের আচরণ আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে,তাদের জীবনে হতাশা নামক বিষ ছড়িয়ে পড়ে যা পরবর্তীতে সন্তানের দাম্পত্য জীবন কোলাহল পূর্ণ হয়ে উঠে,নিজেদের জন্যে না হোক আপনার সন্তানদের জন্যে নিজেদের বর্তমান জীবনে পরিবর্তন আনুন।