জামালপুর প্রতিনিধি।।জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ১১ জুলাই সকাল ১০ টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে কমে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ২শ ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আউস, রোপা-আমন বীজতলা, কলা, পাট, মরিচ, ভুট্টা, তিল ও নানা ধরনের শাকসবজি।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় খাবার, সুপেয় পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৫শ ৪০ মেট্টিক টন চাল, ৭ লাখ টাকা ও ৪ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।