জামালপুরে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের চেয়েও কড়া

মঙ্গলবার, আগস্ট ১৩, ২০২৪

আবুল কাশেম জামালপুর:-

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কর্মবিরতিতে যাওয়ায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয় জামালপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার। আর এ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে জামালপুর শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবং বিভিন্ন কলেজের বিএনসিসি ও স্কাউট গ্রুপ।

 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা শহরের গেইটপাড় থেকে বকুলতলা পর্যন্ত ও শহরের পাঁচরাস্তা এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বিএনসিসির সদস্য ও স্কাউট সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও তাদের সাথে কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

 

ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা সড়কের মোড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। কেউ সিগন্যাল অমান্য করলেই বাধা দিচ্ছেন তাদের। এতে করে রাস্তায় বড় ধরনের কোনো যানজট হচ্ছে না। চালকদের মধ্যে কারো ট্রাফিক রুলস ভঙ্গ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কঠোর ছাত্ররা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে রাস্তা পারাপারে সহায়তা করছেন তারা।

 

এছাড়া বাইক চালকদের হেলমেট ব্যবহারে সচেতন করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, মুক্ত হয়েছে যানজট। তাদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশও যদি রুলস মানার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় না দেয়, সবাই আইন মানতে বাধ্য হবেন।

 

নিয়ম ভেঙে উল্টো পথে যাচ্ছিলেন এক রিকশাচালক। সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন এক তরুণ। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ওই চালককে বললেন, সরি মামা, আপনাকে ইউটার্ন নিয়ে ঘুরে আসতে হবে।’ পরে ওই চালক নিয়ম মানতে বাধ্য হন।

 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর জামালপুরে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

পরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। খুলতে শুরু করে সব ধরনের দোকানপাট, অফিস-আদালতসহ ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান।

 

বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে ব্যস্ততম নগরীতে পরিণত হয় জামালপুর জেলা শহরসহ জেলার হাট-বাজারগুলো।

 

এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।