‘ক’ আদ্যক্ষর দিয়ে একটি স্বার্থক গল্প ‘ক’ কুটির

মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪

 

 

।।ইঞ্জিঃ মোঃ কুদ্দুছুর রহমান ।।

‘ক’ কুটির কর্কটক্রান্তির কাছাকাছি কলমাকান্দার কোন কাঞ্চনময় কুটির। কাঁঠাল কাঠের কারুকাজ করা কোনো কিংবদন্তী। কুটিরবাসীদের কথোপকথন ‘ক’ কেন্দ্রিক।

 

কার্তিকের কোনো কার্যকাল। কুটির কর্তা কায়েস কুতুবুদ্দিনের কনিষ্ঠ কন্যা করিমুন, কাঁচিতে কুচি কুচি করিয়া কয়েকটি কিম্ভূতকিমাকার কার্বন কাগজ কাটিতে কাটিতে কখনও কাগজ—কলের কথা কল্পনা করত কাছেই কর্তব্যরত কুদরত কাকাকে করুণ কণ্ঠে কহিল, “কাকা, কর্ণফুলী কাগজের কলে কাজ করা কত কষ্ট! কেন কষ্টকর কাজ করেন?” কাকা কহিল, “কাজ করা কঠিন কর্তব্য। কর্তব্য কাজই কষ্টের। কাজেই কষ্টকর কাজ করি। কথায় কয়না ঃ কষ্ট করিলেই কেষ্ট।”

 

কাকার কথা কমিলে, করিমুন কাকীকে কহিল, “কাকী কাক কা কা করে কেন?” কাকী কহিল, “কা কা করাই কাকের কাজ। কাজেই কাক কা কা করে।” কাকীর কথা কমিতে কমিতেই করিমুন ক্রমশ কথা কহিয়াই কাটাইল। করিমুন কহিল, “কাকী কোকিল কুহু কুহু করে কেন?” কাকী কর্কশ কণ্ঠে কহিল, “করিমুন, কথা কম কও। কোকিলের কাজ কোকিল করে। কি কান্ড! কেবল কানের কাছে ক্যান ক্যান করে কথা কয় কিংবা কাঁচিতে কাগজ কাটে।” কাকী ক্রোধযুক্ত কথকথা করিতে করিতেই করিমুনের কাগজ কাটার কাঁচিটা কব্জিবব্ধ করিল। কাকীর কঠোর কথায় করিমুন কাঁদিতে কাঁদিতে কণ্ঠ কাহিল করিল। করিমুন কাঁতর কণ্ঠে কহিল, “কাকী, কওনা কেন? কেন কোকিল কুহু কুহু করে?” কাকী কোন কথা কহিল না। কেবল কপাল কুঞ্চিত করিল।

 

কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকা করিমুনের কান্না কমাইতে, করিমুনকে কোলে করিয়া কোমল কণ্ঠে কহিল, “কি করিমুন, কাঁদছো কেন? কথায় কথায় ক্রন্দন করো না, করিমুন।” করিমুন কাঁতর কণ্ঠে কহিল, “কাকা, কাকী কোন কথা কয়না কেন?” কাকা কহিল, “কাকীটা কূপমন্ডুক। কেবল কঁ্যাট্ কঁ্যাট্ করাই কাজ। কত করে কহিলাম কচি—কাঁচাদেরকে কখনও কটুকাটব্য কিংবা কটাক্ষ করিও না। কিন্তু কে করে কার কথায় কর্ণপাত?”

 

করিমুনের কান্না কমিতে কমিতে কাকা কন্যকা কিছুক্ষণ কৌতুহলোদ্দীপক কথোপকথন করিল।

 

করিমুন ঃ কাকা, কাগজের কলে কি কাজ করেন?

কুদরত কাকা ঃ কাঠ কাটার কাজ।

করিমুন ঃ কিভাবে কাঠ কাটেন?

কুদরত কাকা ঃ করাতের কলে কিংবা কুঠারে।

করিমুন ঃ কাকা, কাপ্তাই কোথায়?

কুদরত কাকা ঃ কর্ণফুলীর কাছেই।

 

কাকা—কন্যকার কথোপকথন কালে কাকী করিমুনের কাগজ কাটার কাঁচিটা কখনো কাঠের কামরায় কামরাবদ্ধ করিল। কিন্তু কাকীর কাঁকনের কনকনানি করিমুনের কর্ণ কুহরে করাঘাত করিতেই, করিমুন কাকীর কর্মকান্ড কর্ণগোচর করিতে কোন কার্পণ্যই করিলনা। কেননা করিমুন ‘ক’ কুটিরেরই কন্যা।

লেখকের দেওয়া তথ্য ঃ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। সূধী বৃন্দ, আমি ১৯৯৬ সালে বুয়েট (ইটঊঞ) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং—এ গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করি। পরে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পাইপ লাইন কনসোটিয়াম নামে একটি কোম্পানীতে চাকুরী পাই। আমার পদের নাম ছিল— পাইপ লাইন ইঞ্জিনিয়ার। এর মধ্যেই আমি ‘ক’ কুটির নামক গল্পটি লিখি। অনেক পরিশ্রম ও সাধণা করে আল্লাহ্র বিশেষ রহমতে আমি এই গল্পটি লিখি। আমি প্রথমে লেখাটি নিয়ে বাসস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) এ যাই। ঐখানকার একজন সাংবাদিক বলল, “এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, সুতরাং আপনি জনকণ্ঠ পত্রিকায় জমা দিলে এটা ছাপাবে।” আমি চিন্তা করলাম শুধু জনকণ্ঠ কেন, ইত্তেফাক, ইনকিলাব সহ অন্যান্য পত্রিকায়ও ছাপানো যায়। তাই আমি এই গল্পটি ইত্তেফাক, ইনকিলাব ও জনকণ্ঠ পত্রিকায় ছাপানোর জন্য জমা দেই। এমনকি ইত্যাদি’র হানিফ সংকেত এর বাড়িতে গিয়ে তার হাতে দিয়ে আসি। কিন্তু তখন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তা প্রকাশ করতে দেয়নি। সে খবর নিয়ে দেখল আমি সক্রিয় কোন রাজনীতি করি না। তবে, বুয়েটে অধ্যয়নকালে ছাত্রদলকে ভোট দেই। এই কথা জানতে পেরে সে সব জায়গায় অর্ডার করে দিল যে, এই ছেলেকে আওয়ামী লীগ বানাও। না হলে তার লেখাও প্রকাশ করা যাবে না কিংবা সরকারী বা অটোনোমাস কোন কোম্পানীতে চাকুরীও দেওয়া যাবে না। তখন বাংলাদেশ পাইপ লাইন কনসোটিয়ামের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিল— সাবেক এম.পি. ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। তার সহযোগিতায় শেখ হাসিনা এই ধ্বংযজ্ঞ চালায়।

আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একজন সাধারণ লোক। আমার পাশ করার পরে চাকুরীর খুব দরকার ছিল। এই কথা ভেবে আমি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এর স্বরনাপন্ন হই। সে চট্টগ্রাম মিরেরশ্বরাই থেকে আওয়ামী লীগের এম.পি। সে এ রকম ভাব দেখায় যে, তার কাছে গেলেই সরকারী/অটোনোমাস কোম্পানীতে (যেমন— পেট্টোবাংলা, বিটাক ইত্যাদি) চাকুরী পাওয়া যাবে। আবার সেই সুপারিশও করে না, কিন্তু উল্টো ভাবে আমাকে গোপনে বাদ দিয়ে দেয়। যেমন— বি.জি.এফ.সি.এল. ব্রাহ্মনবাড়ীয়ায় আমি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। সেইমতে মৌখিক পরীক্ষাও দেই। সেখানে একজন ষ্পেশালী আমাকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ইন্টারনাল ব্যাপার জিজ্ঞেস করে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, কয়জন লোক নিবে? তখন সে বলে, একজন নিলেও আপনারটা হবে। সে আরও বলে ১৫ দিনের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দিবে। তার কথার মধ্যে একটি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল যে, যদি আমি আওয়ামী লীগ করি ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ মেনে নেই তাহলেই আমার চাকুরী হবে। কিন্তু সেই ইঙ্গিত আমি বুঝতে পারিনি। সেই পরীক্ষার ফলাফল দেয় ০৬ মাস পর। যেখানে ৩৫জন ইঞ্জিনিয়ার নেয়, কিন্তু আমারটাই বাদ। বন্ধুগণ তখন পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যানও ছিল আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। পরে শুনেছি দুই মোশারফই একই ক্লাশমেট। তার (পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান) বোন আমার মামা সুপরিচিত ডাক্তার গোলাম রসুল এর কলিগ। মামার ফোনই আমার চাকুরীর জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সে মামা আমাকে একদিন ডেকে বলল, “দেখ কুদ্দুছ এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমার সুপারিশে তোমার চাকুরী হবে না। তুমি বরং ঐ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এর কাছে যেয়ে জয় বাংলা— জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেও, তাহলে হয়তো চাকুরী হতে পারে।” কিন্তু ভাইগণ আমি ছিলাম শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচক। আমি বলতাম, “শেখ হাসিনা যদি বছরে ১৭৩ দিন হরতাল না করত তাহলে ৯৬ সালে আরও বেশী ভোট পেত। তাহলে সে কেন শুধু শুধু হরতাল করল? দেশের ক্ষতি করল?”

তারা আমার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা লাগিয়ে দিল। এক গোয়েন্দা আমাকে পরিচয় দিয়েছিল যে, তার নাম হলো সেকান্দর সাহেব। সে কখনো তার ঠিকানা দেয়নি। কিন্তু ফোনে কথা হতো। এভাবে ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলো। আমি মনে করেছিলাম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলে আমার লেখা ছাপানো হবে। কিন্তু ঐ সময় ঐ গোয়েন্দা আমাকে বলল, কিছুতেই আপনার লেখা এখন ছাপা হবে না। আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে, তখন ছাপা হতে পারে। আমাকে আরও বলল, আমি যদি আওয়ামী লীগ না করি, তাহলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে। এই কথা শুনে আমি ভীষন অসুস্থ হয়ে গেলাম। আমার হার্ট এ্যাটাক হয়ে গেল। আমার হার্টে ১৯৯৮ সালে ডুয়েল চেম্বার পেসমেকার লাগানো হলো। তারপরও বিটাকে (ইওঞঅঈ) এ ১২টি পদের বিপরীতে প্রায় ৩০০০ ইঞ্জিনিয়া লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিল। তার মধ্যে ২০জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো। তারমধ্যেও আমি ছিলাম। কিন্তু আমার চাচাতো ভাই মরহুম হারুনুর রশিদ (সাবেক মেডোনা গ্রুপের চেয়ারম্যান) তোফায়েল আহাম্মদকে (তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী) ফোন করল আমাকে নেওয়ার জন্য। কিন্তু ২০জনের মধ্যে ১২জন সিলেক্ট হলো। কিন্তু আমার চাকুরী বাদ পড়ল। তখন অফিসে আমি গোপনে জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যাপার আমারটা বাদ পড়ে কেমনে? তখন বিটাকের অফিস থেকে বলা হলো, তোফায়েল আহাম্মদ আপনারটা বলে নাই। পরে আমি অবশ্য তোফায়েল আহাম্মদ এর নিকট ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম— তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। আমার চাকুরী না পাওয়ার ঘটনাটি আত্মীয়—স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেল। একদিন আমার মামাতো ভাই ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান (চেয়ারম্যান অব সিগমা পাম্পস্ লিঃ) আমাকে ডাকলো তাদের কোম্পানীতে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার নিবে। আমি ইচ্ছা করলে অংশগ্রহন করতে পারি। তখন শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ০৫জন নিবার্চিত হয়। আমি তার মধ্যে একজন। আমার পদবী ছিল— সেলস্ ইঞ্জিনিয়ার। তখন ২০০১ সাল। সেই থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁদের কোম্পানীতে (প্রায় ১০ বছর) চাকুরী করলাম। তারপর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নিজেই লেবার খাটানো ব্যবসা শুরু করি। অর্থ্যাৎ আমি বেসরকারী কোম্পানীতে ডিপ টিউব অয়েল এর কাজ করি। অনেক কষ্টের বিনিময়ে আজ এই পর্যন্ত চলছি। বন্ধুগণ, একটি কথা জেনে রাখুন, রিজিকের মালিক রাজ্জাক। সেটাই প্রধান ব্যাপার। তবে আমি আশা করেছিলাম এই লেখাটি দিয়ে আমি পরিচিত হবো। পরে আরও অনেক গল্প, কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করব। কিন্তু আমাকে একজন সম্মানীত লেখক হতে দেওয়া হলো না। আমার লেখক জীবনের মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। আমাকে সাইড লাইনে বসিয়ে রেখেছে। আসল কথা হলো— আমি হলাম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। ভাষা হিসাবে আমরা মেজোরিটি বাঙালী এ কথা ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে বাঙালী ছাড়াও চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি বহু ভাষাবাসী আছে। তাই আমরা মেজোরিটি বাঙালী হলো— আমাদের জাতীয়তার পরিচয় হলো আমরা সবাই বাংলাদেশী। আমাদের পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সকল বায়োডাটায় আমরা জাতীয়তার ঘরে বাংলাদেশী লিখি। আমি অবশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও শহীদ প্রেসিডেন্টকে সৎ এবং জাতির সূর্যসন্তান মনে করি। একজন আমাদের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ক্যাপ্টেন এবং অন্যজন রনাঙ্গণে জেড সেক্টরে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। দু’জনই আমাদের শ্রেষ্ঠ ও জাতীয় নেতা। আর তারা যেহেতু মারা গেছে, আমাদের উচিত তাঁদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দু’জনের জন্য দো’য়া করা। বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলেই যে বাঙালী হতে হবে, এটা আবার কেমন কথা ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ছাত্র—জনতা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট দেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কবল থেকে। আমরা পারিনি, যদিও আমি ২৮ বছর যাবৎ শেখ হাসিনার উম্মুক্ত কারাগারে বন্দি ছিলাম। এখন তোমাদের হাত ধরে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছি। প্রথম শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ সহ তোমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করলা। এখন আমি স্বাধীন ভাবে লিখতে পারবো ইনশাল্লাহ্। আমার বয়স এখন ৫৫। অনেক রোগে আক্রান্ত। আমার পক্ষে হয়তো সেই ভাবে আর লেখা হবে না। তবুও আমি অন্তত একটি বই লিখব যা আমার জীবন ইতিহাসের স্বাক্ষী হবে। যেই বইয়ের নাম দিবো ‘কেরামতের কল্প কাহিনী’। এই বইতে আমার শৈশব থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব ধরনের তথ্য তোমরা পাবে ইনশাল্লাহ্। আমি ‘ক’ কুুটির নামের একটি বইও লিখেছিলাম। সেখানে ‘ক’ আদ্যক্ষর দিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তির নাম ও জীবন বৃত্তান্ত, গাছের নাম, মাছের নাম, ফলের নাম, ফুলের নাম ইত্যাদি তথ্য মূলক ব্যাখ্যা লিখেছি। বইটি আমি আবার নবায়ন করব। যার মলাটে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি। আরও অনেক কথা আছে, যা আমার ‘কেরামতের কল্প কাহিনী’ বইয়ে বিশদভাবে লিখব ইনশাল্লাহ্।