আরমান বাদল ।। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতার সুযোগে মুখরোচক শিশু খাদ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে নীরবঘাতক ফরমালিন, কার্বাইড, কাপড়ের রং, মোম, স্যাকারিন, সোডা, আটা-ময়দা, সুগন্ধী পাউডার, ট্যালকম পাউডার, রাব, পঁচা তেতুঁল, পঁচা আম, পঁচা আমড়া ও ঘনচিনি।
আর এসব উপাদান মিশ্রিত বিভিন্ন প্রকারের জুস, পাইপ আইসক্রীম, চকলেট, চুইংগাম আচার, সন্দ্বেশ ও বরফিসহ অর্ধশতাধিক তৈরি করা বিষাক্ত মুখরোচক শিশু খাদ্যে সারাদেশ সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু বিষয়টিতে সরকারের দ্বায়িত্বশীল মহল একেবারেই নির্বিকার।
পুরান ঢাকার বেগম বাজার ও মৌলভীবাজার মুকিম কাটারা চাম্পাতলীতে প্রকাশ্যে পাইকারি বিক্রি হয়ে এসব শিশুদের ভেজাল খাদ্য বছরের পর বছর ধরে। এখান থেকে প্রতিদিন দেশের ৬৪ জেলার ৬৮০ থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে এসব পণ্য।
যা হাট-বাজার,পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলির মুদি দোকান এবং স্কুল-কলেজের সামনে বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবুঝ শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোররা সহজলভ্য এসব খাদ্য খেয়ে জটিল রোগসহ নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেগম বাজার ও চাম্পাতলীতে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার এ সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
অধিক মুনাফার এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে বেগম বাজার, ছোট কাটারা, বড় কাটারা, চক বাজার কামালবাগ, ইসলামবাগ, শহিদ নগর, হাজারিবাগ, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ সহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায়।
এ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে শতাধিক অসাধু ব্যবসায়ী। স্থানীয় থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সবুজ বাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেগম বাজারের হোসেন ম্যানসন, শওকত ম্যানসন, হাসিনা মার্কেট, করিম ম্যানসন, ভাই ভাই ম্যানসন, রিফাত ম্যানসন ও চাম্পাতলীর বিভিন্ন দোকানে এ সব ভেজাল পণ্য পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, চাম্পাতলীর রফিক ট্রেডার্স, আলাউদ্দিন ষ্টোর, রহমান ব্রাদার্স, সিকদার ষ্টোর, ইত্যাদি ষ্টোর, সহ
বেগম বাজারের শওকত ম্যানসনে নিউ জনতা ষ্টোর, ওহিদ ষ্টোর, হালিম ষ্টোর, আনোয়ার ষ্টোর, শহিদ ষ্টোর, ফারজানা ষ্টোর, রমজান ষ্টোর, হোসেন ম্যানসনে শাহআলম ষ্টোর, রাজধানী ষ্টোর, হারুন ষ্টোর, নিউ সোনালী ষ্টোর, সাথী ষ্টোর, আকাশ ষ্টোর, রিফাত ম্যানসনে আনন্দ ষ্টোর, মিন্টু ষ্টোর, খুলনা ষ্টোর, করিম ম্যানসনে নওশাদ ষ্টোর, মামুন ষ্টোর, পিংকি ষ্টোর ও হালিম ষ্টোর।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের খোলা মোড়া এলাকায় আবু তাহের ও কালাম এর পাইপ আইসক্রীম এবং জুসের কারখানা রয়েছে। কর্তপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে পণ্যের গায়ে বিএসটিআইয়ের লোগো লাগিয়ে ব্যবসা করছেন।
তারা দুই ভাই এ ব্যবসা করে প্রায় ৩ বছরে প্রায় ৩ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আল-আমিনের কারখানা একই এলাকায়। তিনি পাইপ আইসক্রীম জুস ও বরফি তৈরি করে বাজারজাত করছেন দীর্ঘদিন ধরে।
মনিরের পাইপ আইসক্রীম ও জুসের কারখানা রয়েছে শনির আখড়ায়। অনুমোদন না নিয়ে বিএসটিআই’য়ের লোগো তার পণ্যের গায়ে লাগিয়ে ব্যবসা করছেন।
জাহাঙ্গীরের পাইপ আইসক্রীম ও জুসের কারখানা রয়েছে কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব ইসলাম নগর আজিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়। শাহিনের পাইপ আইসক্রীমের কারখানা রয়েছে মোমিনবাগ এলাকায়।
রাজ্জাকের পাইপ আইস ক্রীমের কারখানা রয়েছে পূর্ব ইসলাম নগরে। বেলায়েতের পাইপ আইসক্রীম ও জুসের কারখানা রয়েছে কামরাঙ্গীরচরের তাজ হারিকেন কারখানার পাশে। সিদ্দিকের পাইপ আইসক্রীম ও বরফির কারখানা রয়েছে ঝাউলাহাটি এলাকায়,আচার ওয়ালা ঘাট কাদিরের আইস ললি জাহান বড় গ্রামে জাহাঙ্গীর বেগম বাজার রিফাত ম্যানসনে শাহিন ষ্টোরের মালিক শাহিনের পাইপ আইসক্রীম, জুস ও বরফির কারখানা রয়েছে তার দেশের বাড়ী। খুলনা জেলায়