জাতির সংবাদ ডটকম।।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত গাইনি সার্জন ডা. রোকসানা পারভীন রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, খারাপ আচরণ, চুক্তির মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী প্রেরণ, নির্দিষ্ট ক্লিনিকে পরিক্ষার জন্য রোগিদের চাপ প্রয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
রোগীরা জানায়, ওই ডাক্তার আসার পর থেকেই শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিভাগে হয়রানির শিকার হতে হয়। রোগী দেখার সময় তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে নির্দিষ্ট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার চেম্বারের বাইরে স্থানীয় পলি ক্লিনিক ওই ডাক্তারের পোষ্য ক্লিনিকের খপ্পরে প্রতিনিয়ত পড়তে হয় রোগীদের।
তিনি ৮ সেপ্টেম্বর মো. সুজনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি নামে এক রোগীকে ডেলিভারির সময় চিকিৎসা অবস্থায় রোগী মারা যায়। রোগীর স্বজনেররা বলছেন ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মারা গেছে। এমন আরও অনেকের অভিযোগ রয়েছে রোকসানা পারভীনের বিরুদ্ধে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন ওই ডাক্তার কসাই নামে পরিচিত, রোগী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কোন রকম চিকিৎসা না দিয়েই তাকে জোরপূর্বক চেম্বার থেকে বের করে দেন বলেও রোগী অভিযোগ করেন। সিজার করার জন্য ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। এবং উনার পছন্দমতো ক্লিনিকে ভর্তি করতে বলেন সেখানে অসহায় বা দরিদ্রদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়। তবুও সুস্থতার কথা চিন্তা করে ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ভর্তি হন রোগীরা।
ডা. রোকসানা পারভীনের নামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। অনেকে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগীর স্বজন বলেন ডাঃ রোকসানা পারভীন এর নামে অভিযোগের শেষ নেই। ডেলিভারির সময় বাচ্চা মারা যাওয়ার এমন অভিযোগ রয়েছে অনেকের। নরমাল ডেলিভারির রোগীকেও নিয়ে যান সিজার করতে। চিকিৎসার সময় অতিরিক্ত পরিমানে টাকা নেয়া, প্রয়োজনীয় ঔষধের বাহিরেও অতিরিক্ত ঔষধ দেয়া, বিভিন্ন প্রকার টেস্ট দেয়া যা না হলেও হয় এছাড়াও উনার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আছে।
ডাঃ রোকসানা পারভীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ আসলেও টাকা এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি অভিযোগগুলো ধামাচাপা দিয়ে দেয় ।শ্রীমঙ্গলের মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে মুখ খুলছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ডাক্তার রোকসানা পারভীনের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার এবং হাসপাতালের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এই মিথ্যা অপপ্রচার করছে বলে আমি মনে করি। আমি দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত এই হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সরাসরি এসে আপনারা হাসপাতালে খবর নিলেই তার প্রমাণ পাবেন।