থামছেই না দখল-চাঁদাবাজি

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তরবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটেনি। দখল-চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্য বন্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কঠোর সতর্ক বার্তা দিলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি। থানা কম্পাউন্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছেন। এখনো পুলিশ প্রশাসনে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা কেউ থানায় গিয়ে মামলা বা জিডি করলেও তা তদন্তেরর জন্য আগের মতো মাঠপর্যায়ে পুলিশের কোনো জোর তৎপরতা নেই। এর ফলে সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠী নানা কৌশলে মাঠে নেমে দখল-চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুরান ঢাকার লালবাগের মঙ্গলী মেলার সহস্রাধিক দোকানপ্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেছে দুটি গ্রম্নপ। অপরদিকে গাউছিয়া, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবের মিরপুর রোডের দু’পাশে হকার বসাকে কেন্দ্র করে দখলদারিত্ব শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দখল-ভাংচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা করলেও আসামি গ্রেপ্তারে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ও সংশিস্নষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে লালবাগে খালেদ হাসান সাইফুলকে হত্যার দায়ে তার বাবা কামরুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলাম ও কামরাঙ্গীরচরের র্দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনসহ ৮৫ জনের বিরম্নদ্ধে মামলা করেন। এছাড়া চকবাজারের বকশি বাজার এলাকায় ছেলে হত্যার অভিযোগে চকবাজার থানার ডিএসসিসি’র কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনসহ ১৮২ জনের নাম উলেস্নখ্য করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের মা রহিমা আক্তার। এছাড়া ড়্গমতায় থাকাবস্থায় কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকায় সাগির আহম্মেদ সুজনের কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন। নির্ধারিত চাঁদা না দেওয়ায় ঢাকা-২ আসনের এমপি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী গম কেলেঙ্কারির হোতা অ্যাডভোকেট কামরম্নল ইসলামের ইন্ধন ও নির্দেশে এবং ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের যোগসাজসে ৫৬ নংম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, লালচাঁন সুমন, জাবেদুল ইসলাম জাবেদসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী সুজনের বাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাঙ্চুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় জড়িত ১৪ জনের নাম উলেস্নখ করে তৎকালীন সময় থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী সুজন। কিন্তু থানা পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে আদালতেও যান মামলা করতে। অবশেষে গত ৪ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি সি আর মামলা করেন। যার নম্বর-২৫৫। সুজনের পড়্গে আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আইনজীবী আরিফ উদ্দিন আহমেদ। পরে বিজ্ঞ আদালত আবেদন গ্রহণ করে কামরাঙ্গীরচর থানাকে মামলা গ্রহণ ও তদন্তের আদেশ দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা হলেও এখনো তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আত¥গোপনে থেকেই মামলা তুলে নিতে বাদী সুজনসহ তার পরিবারকে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাগির আহমেদ সুজন। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে কামরাঙ্গীরচর, কেরানীগঞ্জ, বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, দুবাইয়ে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে তদন্তের জন্য দুদকে আবেদন করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্যে, নিউ মার্কেট, পলাশী, ঢাকা মেডিকেল এলাকার দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ হোসেনসহ তার ক্যাডার বাহিনী, ছাত্রজনতা গণহত্যার পিছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন কামরাঙ্গীরচর ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর থানা ও র‌্যাব ১০ অফিসে হামলার লুটপাট ও আগুন সন্ত্রাসের পিছনে মাস্টারমাইন্ড র্দুর্ধষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হোসেন কাউন্সিলর জড়িত ছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অভিযুক্তরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিড়্গার্থী খালিদ হাসান সাইফুলস্নাহ ও শহীদ ইয়াকুব হত্যা মামলার আসামি। কামরাঙ্গীরচরের র্দুর্ধষ সন্ত্রাসী ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি আবেদন করেছেন সুজন। মামলার বাদি সগির আহমেদ সুজন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মোহাম্মদ হোসেনসহ তার বিশাল ক্যাডার বাহিনী এখনো অধরাই রয়েছে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র এবং শত শত কোটি অবৈধ টাকা রয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও টাকার বিনিময় তার যে কোন ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান সুজন। কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনসহ তার ক্যাডার বাহিনীসহ মামলার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানান, আত্নগোপনে থেকে এখনো এলাকার আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে আসামিরা। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা গেলে মানুষের মনে শান্তি ফিরে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এদিকে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার লালবাগের নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধে হলি-ডে মার্কেট বসে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হকার জানান, ওই মার্কেটটি মঙ্গলী মেলা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। মেলায় এক হাজারেরও অধিক ছোট-বড় দোকান বসে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার। আ.লীগ সরকারের শাসনামলে ডিএসসিসি’র মাধ্যমে কথিত লিজের নামে শ্রেণিভেদে দোকানপ্রতি ৮০০ থেকে ১৫০০ হাজার টাকা চাঁদা তুলতেন থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসেন, নবাবগঞ্জ বাজার কমিটি ও আ.লীগ নেতা ইয়ার মোহাম্মদসহ তাদের অনুসারীরা। কিন্তু সরকার পতনের পর মঙ্গলী মেলা থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ করে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়করা। দোকানিরা জানান, একমাস চাঁদামুক্ত থাকলেও এখন একটি গোষ্ঠী নানা কৌশলে চাঁদা তুলে নিচ্ছেন। গেল এক মাস পর গত ১০ সেপ্টেম্বর ৮-১০ জনের পৃথক দুটি চাঁদাবাজ গ্রুপ চৌকি ভাড়া বাবদ ১০০ ও পরিচ্ছন্নতা বাবদ ১০০ টাকা হারে গড়ে মোট ২০০ টাকা হারে মোট ২ লক্ষাধিক টাকার চাঁদা তুলে নিয়েছেন দুটি গ্রম্নপের সদস্যরা। কেউ প্রতিবাদ করলেই দোকান তুলে দেওয়া ও হামলা, ভাঙচুর ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন মঙ্গলী মেলার ভুক্তভোগী অনেক দোকানি। তবে কে বা কারা চাঁদার টাকা উত্তোলন করেছেন এমন প্রশ্নে ভয়ে কেউ তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। বলেন, মাঠে ফিরে আসা রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউছিয়া, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, বণলতা কাঁচা বাজার ফুটপাত ও মিরপুর রোডের দু’পাশের একাধিক হকার জানান, আ.লীগ সরকারের পতনের পরই অপর একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা দখলদারিত্ব শুরুকরেছে। শ্রেণি ভেদে দোকানপ্রতি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে অšত্মত ২ হাজার ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে মকবুল, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী ও সাত্তারের নেতৃত্বে চাঁদা তুলছেন ও নতুন দোকান বসাচ্ছেন মনির, মো¯তফা মিজান বেপারি, সাইফুল, পাগলা শফিক, শাহাবুদ্দিন, ফকির আলমগীর, সামসু, ফরিদ, গাজী, শহীদ, ইসমাইল, আব্দুল লতিফ, সবুজ, মোস্তফা ২সহ আরও অনেকে। এদের নেতৃত্বদানকারীরা পুরনো হকারদের ফোনে ডেকে নিয়ে আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছেন। সেই প্রস্তাব না মানলেই হকারদের জোরপূর্বক উঠিয়ে দিয়ে নিজেদের ঘরোনার নতুন হকার বসিয়ে দিচ্ছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এতে তারা দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। এমন অবস্থায় প্রতিকার চেয়ে ইতোমধ্যেই ডাকযোগে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা চাঁদামুক্ত পরিবেশে ড়্গুদ্র ব্যবসা চালানোর সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পুলিশসহ সংশিস্নষ্ট কর্তৃপড়্গরে হহস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয় জানতে মকবুল, পাগলা শফিকসহ কয়েকজনের মুফোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কারও কোনো বক্তব্য মেলেনি।

এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে হাট পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা জানান, বিএনপির কিছু নেতাকর্মী হাটে চাঁদা তুলতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হাট উন্মুক্ত করে দেয়। হাট চলাকালে রাত ৮টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে নীলফামারীতে সাবেক দুই এমপি, সদর থানার সাবেক ওসি ও সাংবাদিকসহ ৬০ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর জেলা চীফ জুডিসিয়াল আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন মো. সৌমিক হাসান সোহান নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি শহরের পূর্ব কুখাপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও গত ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-মামলার নামে ভয়ভীতিসহ চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে চাঁদা না দেওয়ার জেরে পুরান ঢাকার ইসলাপুরে বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির মার্কেটের সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় এ সংঘর্ষ হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় যুবদলের নেতা সোবহান হোসেন ও ছাত্রদলের নেতা নূর হোসেন। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

 

স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত মঙ্গলবার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর জের ধরে বুধবার ইসলামপুরে তাকে একা পেয়ে মারধর করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরপর দলবল নিয়ে অন্তত বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে প্রবেশ করে হামলা চালায়।

হামলার সংবাদের পর মাইকিং করে সকল দোকানপাট বন্ধ করার ঘোষণা দেন। এরপর পাটুয়াটুলি, ইসলামপুর ও সদরঘাট এলাকার রাস্তায় নামেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, মার্কেটের সভাপতি বাবুলের ওপর হামলার পরই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা যখন হামলা চালায় তখন তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি ও দেশী অস্ত্র ছিলো। হামলায় সসদরঘাটের টোকাইসহ চিহ্নিত অপরাধীরাও অংশ নিয়েছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় যুবদলের সাবেক নেতা সোবহান হোসেন ও সাবেক ছাএনেতা নূর হোসেন,কিরন সহ সদরঘাটের শ্রমিক নেতা সুমন ভূইয়ার লোকজন রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করতে আসে।

এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হাসান বলেন, নূর হোসেন সহ কয়েকজন মার্কেট কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুকে মারধর করার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায় ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পুরান ঢাকায় বিশেষ করে ইসলাম পুর, বাদামতলী, নবাববাড়ি, পাটুরিয়াটুলি,সদরঘাট এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে কোতোয়ালি থানার ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের নেতারা

এক ব্যবসায়ী নাম না করা শর্তে জানান সুমন ভূইয়া,সোবহান,ও নূর হোসেন , কিরন সহ আরো অনেকে অপদিকে সুত্রাপুরের ঋসিদাস লেনে মন্দির দখল করে

স্থানীয় থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম নেতৃত্বে এতে ৪৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জন ও সাধারণ সম্পাদক প্রতিপ হাসানের বিরুদ্ধে পরে সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে মন্দিরের তালা খুলে দেয়।