আজ ১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)

সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪

মোঃ মোহন আলী।।

আজ ১৬ই সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার, ১২ই রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এই দিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আরবের মক্কা নগরির সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে বাবা আব্দুল্লাহ এবং মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্মদিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে। তবে এই দিবস পালন নিয়ে মুসলিম বিশ্বের আলেম, ফকীহ ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মাঝে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে। আলেমদের মতে বর্তমানে ১২ রবিউল আউয়ালকে যেভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী বা মহানবী (সা:) এর আগমন দিবস হিসেবে পালন করা হয় তা রাসূল (সা:)- এর সুন্নতের পরিপন্থী এবং একে তারা বেদয়াত বলে গণ্য করেছেন। কারণ রাসূল (সা:) এভাবে কখনো তারিখ নির্ধারণ করে তার জন্মদিন পালন করেননি। বরং তিনি প্রতি সপ্তাহের সোমবারে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া স্বরূপ রোজা রাখতেন। সাহাবীগণদের প্রশ্নের জবাবে হুজুর পাক (সা:) বলেন,এই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায়ের জন্য রোজা রাখি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে,প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, ও শান্তি নিহিত রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (৬৩) বছর বয়সে এই দিনেই ইন্তেকাল করেন। আবার আল্লাহর প্রদত্ত সব দায়দায়িত্ব সফলভাবে সম্পাদন করে এই দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র সান্নিধ্যে চলে যান। তিনি ছিলেন ন্যয়নিষ্ঠ, সৎ, সত্যবাদী এক মহাপুরুষ। পৃথিবীর,চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র তাঁর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল। যুগে যুগে মানুষকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী রাসুলে করিম হযরত মুহাম্মদ (সা:) তাদের মধ্যে শেষ ও শ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদেরকে মহানবী (সা:) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমান জাতির মানবতার কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলা, সবাইকে তৌফিক দান করুন।