পুলিশ সদর দপ্তর অভিমুখে রোববার দুপুর ১২টায় মৌন মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার রাতে জেলার কর্মসূচিতে বাঁধা ও হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশকে অবহিত করার পরও শুক্রবার জেলায় জেলায় দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা ও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার জবাবদিহিতা চাইতে পুলিশ সদর দপ্তর অভিমুখে মৌন মিছিল সহকারে পুলিশ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দল।
এর আগে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে দিয়ে ঘুরে নাইটিংগেল,কাকরাইল মোড়, ফকিরাপুল হয়ে পল্টন এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বিদ্যুৎ,গ্যাসসহ সরকার একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতিতে আজ জনজীবনে দুর্ভোগ। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা শুক্রবার জেলায় জেলায় কর্মসূচি দিয়েছিলাম। এমনকি কর্মসূচির বিষয়ে জেলায় জেলায় পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। তারপরও পুলিশ পটুয়াখালী,পিরোজপুর, বগুড়া, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান করেছে। পটুয়াখালী, বগুড়া, ময়মনসিংহসহ কয়েক জায়গায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে কার্যালয়ে ঢুকে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। বগুড়ায় কর্মসূচি শেষ করে ফেরার পথে হামলা চালিয়েছে। সরকারবিরোধী দলসমূহের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা করে দেশে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম চায়। এ দেশের জনগণ ৭৫ সালে বাকশাল মেনে নেয়নি, আজও নিবে না। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ভালোভাবে বিদায় না নিলে পৃথিবীর অন্যান্য স্বৈরশাসকদের মতো বর্তমান সরকারকেও নিষ্ঠুর পরিণতি ভোগ করতে হবে।