নানা অভিযোগ, তবুও বহাল তবিয়তে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

সোমবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

 

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 

হবিগঞ্জের মাধবপুরের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি অপেশাদার আচরণের নানার অভিযোগ এলাকায় রীতিমত ক্ষোভের সৃষ্টি কয়েছে ।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ও শিক্ষকদের ডিউটির প্রায় ৭ লক্ষ টাকার আত্মসাতের অন্যতম হুতাও ছিলেন তিনি।তিনি সকল কেন্দ্র কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।ওইসব দায়িত্ব অবহেলার দায় বর্তায় তার ওপরেও। এ নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটি শাখা থেকে তদন্ত চলমান রয়েছে।

 

এছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষক তানিম হোসেনের সাথে অশোভন আচরণে অভিযোগ উঠেছে তার উপরে।সৈয়দ সৈয়দ উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় ওই শিক্ষকের ২টি মোবাইল পর্যন্ত জব্দ করেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। নিয়ম নীতির তোয়াক্ষা না করেই ওই মোবাইল জব্দ করে রাখেন তিনি।

 

তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, বহুল আলোচিত মাধবপুর পৌর দরগাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ সুপার সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে তদন্ত প্রতিবেদন চাইলে তিনি ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে বিতর্কিত হন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষকদের সাক্ষী ছিল একরকম আর তিনি মতামত দিয়েছেন সম্পূর্ণ উল্টো।এ ঘটনা তার বিরুদ্ধে চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে।

 

এছাড়া জগদীশপুর জেসি হাইস্কুলের ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের নানা তদন্তে ঘুষ নিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন দেন এবং আত্মসাৎকারীদের বাঁচিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ান তার স্ত্রী যুগ্ম জজ পরিচয় দিয়ে আত্বপ্রচারনা করেন। পরোক্ষ ভীতিও সৃষ্টি করেন।বিভিন্ন সময়ে তার বদ মেজাজি আচরণ বিভিন্ন মহলে সমালোচনায় সৃষ্টি করছে।

 

সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের দাওয়াত না দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন খানসহ আরো প্রেসক্লাবের নেতারা।এছাড়া সরকারি নাম্বারে ফোন দেয়া হলেও ফোন কল রিসিভ করছে না তিনি।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক ত্রিপুরারী দেবনাথসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিক ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এমনকি পরবর্তীতে ফোন ঘুরানও নি।

 

এ ব্যাপারে জানতে হবিগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসেনি।আসলে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।