জাতির সংবাদ ডটকম।।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে মনিটরিং বাড়াতে হবে। অনতিবিলম্বে মধ্যস্বত্বভোগী ও ফরিয়াদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে নিত্যপণ্যকে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতির সুযোগ সুবিধা অক্ষুন্ন রেখে ক্ষমতা রহিত করার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এতে বিচার কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা আরো বাড়বে। এভাবে আদালত ঘেরাও করে আন্দোলনের পরে সিদ্ধান্ত নেয়া সমীচীন নয় বলে তিনি মনে করেন।
আজ ১৮ অক্টোবর, শুক্রবার, এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় যুব পার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে যুব পার্টির প্রতিনিধি সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সন্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম আহবায়ক লে. কর্ণেল (অব) হেলাল উদ্দিন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম এফসিএ, এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স ।
মজিবুর রহমান মন্জু আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দূর্নীতি ও অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হলে এই বিশৃংখল পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। তিনি দল মত নির্বিশেষে যুব সমাজের নিকট রাষ্ট্র বিনির্মানের আহবান তুলে ধরার জন্য যুব পার্টির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
লে. কর্ণেল (অব) হেলালা উদ্দিন বলেন, যুব পার্টি নেতৃবৃন্দকে জ্ঞান ও মেধায় অগ্রসর হতে হবে। যুব সমাজের সমস্যা তুলে ধরতে হবে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে একক প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পণ্য আমদানী করতে হবে। তিনি বলেন টিসিবি’র পণ্য ট্রাকে নয় এলাকা ভিত্তিক ন্যাযমূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
ব্যরিষ্টার যুবায়ের আহমেদ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে তার নেতৃত্বে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিগত সরকার দূর্নীতি ও দুঃস্বাশনের যে সর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো তার বিপরীতে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে যুব পার্টিকে নতুন বয়ান উপস্থাপন করতে হবে। মেধা যোগ্যতা আর সততার মধ্য দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে তিনি যুব সমাজকে আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অধীকার ভিত্তিক হওয়ায় সর্বোস্তরের মানুষ এ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। ঠিক তেমনিভাবে যুব অধিকার নিয়ে কাজ করলে যুব সমাজে যুব পার্টির আহবানে রাষ্ট্র বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হবে। তিনি যুব সমাজকে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে যুব পার্টির কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি যুব পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আমানুল্লাহ্ রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক আহমেদ, দক্ষিণের আহবায়ক মাহমুদ আজাদ, চট্রগ্রাম মহানগরীর আহবায়ক আব্দুর রহমান মনির, গাজীপুর মহানগর আহবায়ক মাসুদ জমাদ্দার রানা, রংপুর মহানগরীর আহবায়ক রাহাত আরমান রনি, কেন্দ্রীয় নেতৃরূসুলতানা রাজিয়া, শাহিনুর আক্তার শীলা, মাসুদুর রহমান, নুর হোসাইন, আব্দুর রহমান, ইসরাত জাহান পিংকি, নুসরাত জাহান লিজা, নাসির উদ্দিন গালিব, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।